আরামবাগ: পুরসভার জলের কল থেকে সাপের খোলস বেরিয়ে আসছে বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের। পানীয় জলের ট্যাপ কল খুললে জলের সঙ্গে সাপের খোলস বেরোনোর অভিযোগকে সামনে রেখে আতঙ্কের পরিবেশ আরামবাগে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে। যদিও পুরসভার তরফে দাবি করা হয়েছে, এমন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা খুবই কম। তবু সবটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরামবাগ পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অভিযোগ, বুধবার পানীয় জলের কল খোলার পর তা থেকে সাপের খোলস, আঁশ বেরিয়ে আসছিল। এই ঘটনায় ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের দৌলতপুর ও ভাটারমোড় সংলগ্ন এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই দুই এলাকায় যে ক’টি জলের কল আছে, সবক’টি থেকেই সাপের খোলস, পচাগলা অংশ অংশ বের হচ্ছিল। এদিকে এই জলেই ভাত রান্না করেন বাড়ির মহিলারা।
ভাটার মোড়ের প্রতিমা মাইতি বলেন, “রান্না করছিল আমাদের পাডার একজন। ভাত হয়ে এসেছে, তখন জল ঢালতে গিয়ে দেখে জলের সাপের খোলস। সকলকে দেখায়। এলাকার ৮টা পরিবার জলে সাপের খোলস পেয়েছে। আমরা তো সকাল থেকে জলও খেয়েছি। পরে বলা হল জল খেতে না। রান্না করে ভাতও ফেলে দিয়েছি ভয়ে।”
১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নানু পোড়ালের কথায়, “কাল থেকে সাপের খোলস বেরিয়েছে। কাল কোনও জলের ব্যবস্থা রাখেনি। আজ এসে ওয়ার্ডে জলের ব্যবস্থা করেছে। আমাদের এখানে কোনও জলের ট্যাঙ্ক দেয়নি। পুরসভার ট্যাপ লাইন থেকে এসব বেরোচ্ছে, ওদের তো তৎপর হওয়া উচিত ছিল।”
যদিও আরামবাগ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মমতা মুখোপাধ্যায় বলেন, “পাইপলাইন থেকে সাপের খোলস বেরোচ্ছে এটা হতে পারে কি না আমি জানি না। যেভাবে পাইপলাইন তৈরি হয় তাতে সাপ ঢুকে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে অনেক সময় সাধারণ মানুষ বেশি জল আসবে ভেবে কলের মাথায় ভেঙে দেয়। হয়ত সেইভাবে, অসাবধানতাবশত কিছু যদি যায় বা কেউ কিছু ঢুকিয়ে রাখলে জানি না সেটা। তবে আমাদের ৯ জন মিস্ত্রি দাঁড়িয়ে সবটা করেছেন। আধিকারিক থেকে পরিষ্কার করাচ্ছেন। আমি পুরসভার পক্ষ থেকে এটাও বলতে পারি ভয়ের কিছু নেই। নির্ভাবনায় জল পান করুন। যদি একান্ত সংশয় থাকে আমি বলব এক বেলা তাহলে জল ফুটিয়ে খান।”