BJP: সুকান্তকে সামনে পেয়েই ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপি কর্মী, ‘জেলা সভাপতিকে জানিয়েও কাজ হয় না’

Hooghly: হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি তুষার মজুমদার বলেন, "যিনি ওখানে ঢুকে কথা বললেন, তিনি ঠিক করে তো দলটাই করেন না। ওনাকে বললে বলবেন পদে নেই। কেউ অভিযোগ করতেই পারেন। কিন্তু জেলা সভাপতিকেও বলতে হবে তো। আগে যদি দিল্লিতে জানিয়ে দিই ঘুরে তো আমার কাছেই আসবে।"

BJP: সুকান্তকে সামনে পেয়েই ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপি কর্মী, 'জেলা সভাপতিকে জানিয়েও কাজ হয় না'
রাজ্য সভাপতিকে অভিযোগ দলের কর্মীর।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 14, 2024 | 8:14 PM

হুগলি: পাণ্ডুয়ায় বিজেপির কর্মিসভা। তারই মাঝে প্রকাশ্যে উঠে এল বিজেপির দলীয় কোন্দল। রবিবার এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে সামনে পেয়েই কর্মীদের একাংশ উগরে দিলেন ক্ষোভ। অভিযোগ করলেন, মণ্ডল সভাপতিরা ঠিকভাবে কাজ করেন না, এমনকী বেশ কয়েকজন তৃণমূলের সঙ্গে মিলে কাজ করে। জেলা সভাপতিকে জানিয়েও কাজ হয় না বলে গুরুতর অভিযোগ বিজেপি কর্মীদের একাংশের।

রবিবার পাণ্ডুয়ার কাকলি সিনেমা হলে কর্মিসভা করেন সুকান্ত মজুমদার। মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, দলের সংগঠনকে আরও মজবুত করতে হবে। মানুষের কাছে যেতে হবে। সকলকে একজোট হয়ে সংগঠন মজবুতি করার বার্তা দেন সুকান্ত। এরপর মঞ্চ থেকে সুকান্ত মজুমদার নামতেই তাঁকে ঘিরে নিজেদের কথা জানান কয়েকজন বিজেপি কর্মী।

হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি তুষার মজুমদার বলেন, “যিনি ওখানে ঢুকে কথা বললেন, তিনি ঠিক করে তো দলটাই করেন না। ওনাকে বললে বলবেন পদে নেই। কেউ অভিযোগ করতেই পারেন। কিন্তু জেলা সভাপতিকেও বলতে হবে তো। আগে যদি দিল্লিতে জানিয়ে দিই ঘুরে তো আমার কাছেই আসবে।”

সুকান্ত মজুমদার বলেন, ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে তবে সেটা বিরিয়ানির মশলার মতো। বিরিয়ানির চাল আর মাংস দলের কর্মীদেরই হতে হবে। তবেই ভাল বিরিয়ানি হবে। হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি তুষার মজুমদারের কথায়, “হেরে গেলে অনেকরকম কথাই ওঠে। জিতে গেলে কোনও কথা ওঠে না। ফলে যিনি বলছেন, তিনি কতটা কাজ করেছেন সেটা দেখুন। আর হেরে গেলে বিশ্লেষণ হয়। সেই হিসাবেই কাজ করতে হবে। সকলে একসঙ্গেই থাকবে।”

তবে এ নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু। হুগলি জেলার তৃণমূল সম্পাদক অসিত চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “বিজেপি যেভাবে অন্তর্দ্বন্দ্বে জর্জরিত হয়ে গিয়েছে, ২০২৬ সাল পর্যন্ত দলটা থাকবে কি না সন্দেহ। উপনির্বাচনের ফলেই বোঝা যাচ্ছে বিজেপিকে ভারতেও কেউ চাইছে না।”