রিষড়া: নারদ স্টিং অপারেশন নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। রবিবার এমনই দাবি করলেন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের স্বামী সাকির আলি। সাকিরও তৃণমূলেরই নেতা এবং রিষড়া পুরসভার কাউন্সিলরও। এর পাশাপাশি সাকিরের দাবি, নারদ স্টিং অপারেশনের টাকা দিয়েছিলেন কেডি সিং। পাশাপাশি এই অপারেশনের কথা মুকুর রায় আগে থেকেই জানতেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
রিষড়া পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর সাকির আলির বলেছেন, “শুভেন্দু অধিকারী মিথ্যা কথা বলছেন। শুভেন্দু বলছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্টিং অপারেশন করিয়েছে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। স্টিং অপারেশনের পরিকল্পনা দিল্লিতে হয়েছিল। কেডি সিং স্টিং অপারেশন করিয়েছিল। কেডি সিং ফান্ডিং করিয়েছিল। মুকুল রায় এই কথাটা জানত। কিন্তু পরে স্টিং অপারেশন মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে করেছিল ম্যাথু স্যামুয়েল।”
সাকিরের স্ত্রী অপরূপার বিরুদ্ধেও নারদ অপারেশন করা হয়েছিল। শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে সাকির বলেছেন, “যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যত মিথ্যা কথা বলতে পারবে, তাকে বিরোধী দলনেতা করবে ভারতীয় জনতা পার্টি। জগদীপ ধনখড় কোথায় চলে গেল। ২০১৮-১৯ সালে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ও নজরুল মঞ্চে কর্মী সভা হয়েছিল। সেখানে দলের সুপ্রিমো বলেছিলেন, দুর্নীতি করা যাবে না। মানুষের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেছিলেন। এবং দলকে সতর্ক করেছিলেন।“ তিনি আরো বলেন, “দলের মধ্যে অনেক নেতা আছে, অনেক রকম কথা আছে। কেউ চুপ করে বসে আছে কেউ বড় বড় কথা বলছে। যাদের টাকা পার্কিং হয়ে গিয়েছে, জায়গাতে লাগানো হয়ে গিয়েছে, সেফ জায়গায় চলে গিয়েছে তারা এখন বড় বড় কথা বলছে। সময় সব ঠিক করে দেবে। সময় সব বলে দেবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেউ যদি চোর বলে, তাঁর জিভ কেটে নেব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজকেও ২ টাকার পেন দিয়ে সই করেন। দিদির দলকে যাঁরা বদনাম করেছে তাঁদের মানুষ আর দেখতে চাইছে না।”
বিষয়টি নিয়ে বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য ভাস্কর ভট্টাচার্য বলেছেন, “যাঁদের বিরুদ্ধে নারদ অপারেশন হয়েছিল তাঁরাই স্বীকার করে নিচ্ছে কেডি সিং এটা করিয়েছিল। কেডি সিং তো তৃণমূলেরই সাংসদ ছিলেন। এর দায় তো তাহলে তৃণমূলেরই। কে টাকা নিয়েছিল, কী করতে টাকা নিয়েছিল বলুক। রাজ্যে যে ভাবে দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসছে, মানুষ জানতে চায় এ গুলো।”