Arambagh: বালির বস্তা দিয়ে নদী আটকানোর চেষ্টা গ্রামবাসীর, শনিবারই এলাকা পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Oct 02, 2021 | 8:58 AM

Bengal Flood: পানশিউলি,মারোখানা, খুনিয়া চক,শাবলসিংহপুর,চিংড়া, নতিবপুর, তাঁতিশাল,বালিপুর, উদনা-সহ একাধিক এলাকা সম্পূর্ণ জলের তলায়। বিচ্ছিন্ন হয়েছে যোগাযোগ। বন্ধ যান চলাচল।

Arambagh: বালির বস্তা দিয়ে নদী আটকানোর চেষ্টা গ্রামবাসীর, শনিবারই এলাকা পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব চিত্র

Follow Us

হুগলি: ক্রমেই অবনতি হচ্ছে আরামবাগ-খানাকুলের বন্যা পরিস্থিতির (Bengal Flood)। প্লাবিত পুরশুড়ার একাধিক অংশ। পুরোপুরি জলের তলায় যেতে বসেছে  পূর্ব ও পশ্চিম খানাকুলের একাধিক  গ্রামপঞ্চায়েতের বহু এলাকা। গ্রামের পর গ্রাম গিলে খেতে আসছে নদী। স্রোত আটকাতে কোনওরকমে বালির বস্তা দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে তত্‍পর গ্রামবাসীরা। শনিবারই, বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরামবাগে বেলা ১২ টা ৩০ মিনিট নাগাদ পৌঁছবে মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার। সেখানে নেমে এলাকা ঘুরে দেখবেন মমতা, এমনটাই খবর সূত্রের।

জানা গিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই জটিল আকার ধারণ করেছে পূর্ব ও পশ্চিম খানাকুলে। পূর্ব খানাকূলে মুণ্ডেশ্বরী নদীর জল উপচে পড়েছে। ভেঙে গিয়েছে নদী বাঁধ। পানশিউলি,মারোখানা, খুনিয়া চক,শাবলসিংহপুর,চিংড়া, নতিবপুর, তাঁতিশাল,বালিপুর, উদনা-সহ একাধিক এলাকা সম্পূর্ণ জলের তলায়। বিচ্ছিন্ন হয়েছে যোগাযোগ। বন্ধ যান চলাচল। অন্যদিকে, পশ্চিম খানাকুলে রূপনারায়ণ ও দ্বারকেশ্বর নদীর জল ঢুকে প্লাবিত বন্দর,ধান্যঘোড়ি, কাকনান,ঘোড়াদহ-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। জলমগ্ন আরামাবাগ বন্দরও।

নদী যাতে গ্রামে  না প্রবেশ করতে পারে সেজন্য বালির বস্তা দিয়ে স্রোত আটকানোর চেষ্টা করছেন। গ্রাম ছেড়েছেন অনেকেই। তবে পরিস্থিতির বদল হয়নি। যত সময় এগোচ্ছে তত অবনতি হচ্ছে বন্যা কবলিত এলাকার।

গত পরশুই আরামবাগে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেখানে। দ্বারকেশ্বরের জলে প্লাবিত গোঘাটের অধিকাংশ গ্রাম। সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গোঘাটের বালি, সাওড়া, ভাদুর ও কুমুড়সা গ্রামের মানুষ। ইতিমধ্যে প্রায় শতাধিক কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ভেঙে গিয়েছে বাঁধ। নতুন করে বাঁধ না ভাঙে তার জন্য এলাকাবাসী প্রশাসনের অপেক্ষা না করেই নিজেরাই বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করছে। এছা়ড়া বহু মানুষ বাড়ি ছেড়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।

দ্বারকেশ্বরের জল উপচে আবার কোথাও বাঁধ ভেঙ্গে গোটা আরামবাগ শহর কার্যত জলমগ্ন। শহরের ১৯ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬ টি ওয়ার্ডই প্লাবিত। প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষকে ২৫ টির মত ত্রাণ শিবিরে নিয়ে আসা হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রায় পাঁচ হাজারের মত মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ডিভিসি জল ছাড়ায় ভাসছে খানাকুল।

শনিবারই আরামবাগে  যাচ্ছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির নেপথ্যে কার্যত ডিভিসিকেই (DVC) দায়ী করেছেন তিনি। যদিও, সেই অভিযোগ অস্বীকার দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন। ডিভিসির সাফ দাবি, কেন্দ্র-রাজ্য নজরদারিতেই জল ছাড়ার প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু পলি পড়ে যেভাবে নদীগুলির নব্যতা কমেছে, তাতে কোনও ভাবেই জলাধারগুলি জল ধরে রাখতে পারছে না। তাই অতিরিক্ত জল ছাড়তেই হচ্ছে। যদিও রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির জন্য এই প্রথমবার ডিভিসি-কে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে এমনটা নয়। এর আগেও যখনই রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে, তখনই সরকারের অভিযোগের তির ঘুরেছে ডিভিসি-র দিকেই। যদিও প্রত্যেকবারই ডিভিসি-র পক্ষ থেকেও একটা বিষয় সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজ্যকে না জানিয়ে কখনই তারা জল ছাড়ে না। ছাড়তে পারেও না।

তবে, জল ছাড়ার পরিমাণ ফের বাড়লে বানভাসি পরিস্থিতি হতে পারে দামোদরের নিম্ন উপত্যকায় এমনটাই আশঙ্কা। যার জেরে আবারও ভেসে যেতে পারে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। পুজোর আগে নতুন করে এই বন্যা পরিস্থিতিতে যে ফের বিপদ বঙ্গ শিয়রে এমনটাই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

আরও পড়ুন: Krishna Kalyani Resigns From BJP: দল ছাড়লেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণকল্যাণী

 

 

Next Article