হুগলি: চোখের নিমেষে কার্ড বদল করে বড় প্রতারণা চালাত এক চক্র। শ্রীরামপুরে সেই চক্রের পাঁচজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে ২০০টি এটিএম কার্ড। পুলিশ সূত্রে খবর, ৪ মার্চ শ্রীরামপুরের মাহেশে একটি এটিএমে গিয়েছিলেন এক প্রৌঢ়া। প্রৌঢ়া মঞ্জু মণ্ডল টাকা তুলতে গেলে এক যুবক সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। আর সাহায্যর নাম করে বদলে দেন এটিএম কার্ড। এদিকে এরপরই ওই প্রৌঢ়ার অ্যাকাউন্ট থেকে ৪০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়।
কোন্নগরের একটি এটিএম থেকে এই টাকা তোলার অভিযোগ ওঠে। ব্যাঙ্কের পাসবুক আপডেট করতে গিয়ে এসব দেখে তো প্রৌঢ়ার মাথায় হাত! শ্রীরামপুর থানায় অভিযোগ জানান তিনি। শ্রীরামপুর থানা ও চন্দননগর পুলিশের বিশেষ টিম ঘটনার তদন্তে নামে।
এরপরই ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ দেখে একটি চার চাকা গাড়ি চিহ্নিত করে পুলিশ। সেই গাড়িই রবিবার শ্রীরামপুরে নগাড় মোড়ে নাকা চেকিংয়ের সময় ধরা পড়ে। গাড়ির তল্লাশি করতেই বেরিয়ে আসে ২০০টি এটিএম কার্ড। বিভিন্ন ব্যাঙ্কের কার্ড সেগুলি। গ্রেফতার করা হয় রাজু বর্মন, শুভম মাল, সঞ্জীব মাইতি, সুবীর শেখ ও সনৎ নস্করকে। জানা গিয়েছে ধৃতরা বারুইপুর, রায়দিঘি এলাকার বাসিন্দা। ধৃতদের রবিবার শ্রীরামপুর আদালত ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
পুলিশের অনুমান, এই প্রতারণা চক্রের টার্গেট মূলত বয়স্ক মানুষ। খুব ভাল করে যাঁরা এটিএম ব্যবহার করতে পারেন না। সূত্রের দাবি, এটিএমে প্রবীণ নাগরিকরা এলেই কোনও না কোনও ছুতোয় এগিয়ে আসে তারা। এরপরই কার্ড বদলে ফেলে। দু’বছরে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার প্রতারণা করেছে দলটি।
এমনও খবর, আগে ট্রেনে বাসে যাতায়াত করলেও ইদানিং চার চাকার গাড়ি নিয়েই ঘোরে চক্রটি। দৈনিক ৫০০ টাকা ভাড়ায় সেই গাড়ি নেয় তারা। এই গাড়িই কাল হল এবার।