Ayan Sil: ‘ছাত্রদের পড়িয়ে মানুষ করি, নিজের ছেলের বেলায় অন্যরকম হয়ে গেল’, অয়নের কেলেঙ্কারি জেনে মুষড়ে পড়েছেন বাবা-শ্বশুর

Ashique Insan | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 22, 2023 | 4:18 PM

Ayan Sil: চুঁচুড়া কারবালা মোড় এলাকার বাসিন্দা প্রাক্তন স্বাস্থ্য কর্মী মনোরঞ্জন দাসের মেয়ে কাকলি। নিজেই পছন্দ করে অয়নকে বিয়ে করেছিলেন। মনোরঞ্জন জানান,বিয়ের পর হাতে গোনা কয়েকবার তাঁর বাড়িতে এসেছেন অয়ন।

Ayan Sil:  ছাত্রদের পড়িয়ে মানুষ করি,  নিজের ছেলের বেলায় অন্যরকম হয়ে গেল, অয়নের কেলেঙ্কারি জেনে মুষড়ে পড়েছেন বাবা-শ্বশুর
ডান দিকে অয়নের শ্বশুর

Follow Us

হুগলি: ইডি বলছেন, তাঁকে নাকি হাতে পেয়ে ‘সোনার খনি’র খোঁজ পেয়েছেন। তাঁর একের পর এক কীর্তির পর্দা ফাঁস করছেন তদন্তকারীরা। সংবাদমাধ্যমে দিবারাত্র এখন অয়ন-জপ চলছে। প্রতি ঘণ্টার প্রতি বুলেটিনে এখন অয়নই মুখ্য আলোচ্য বিষয়। এখন খোঁজ মিলেছে আবার তাঁর এক বান্ধবীরও। কিন্তু অয়ন আদতে কেমন মানুষ? একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে, যাঁর বাবা টিউশন পড়াতেন, তিনি কীভাবে এমন পথে এলেন? তাহলে কি বংশের ‘কুলাঙ্গার’?  অয়নের শ্বশুরের কাছে যে আক্ষেপ করেছেন তাঁর বাবা, তাতে খানিকটা তেমনই আঁচ মেলে। TV9 বাংলার প্রতিনিধি গিয়েছিলেন চুঁচুড়াতে অয়নের শ্বশুরবাড়িতে। দরজা খুলেই সাংবাদিক দেখে প্রথমে কিছুটা বিরক্ত হন। পরে তাঁকে একটা প্রশ্ন করতেই গড়গড়িয়ে বলতে থাকেন মনের কথা।

আরও চাই আরও চাই থেকেই অসৎ পথে পা! জামাই কম্পিউটার বিশারদ ছিলেন। আর সেই কারণেই হয়তো দুর্নীতিতে তাঁকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। অত্য়াধিক ‘বড়’ হতে চাওয়াতেই অয়নের এই পরিণতি বলে মনে করছেন শ্বশুর মনোরঞ্জন দাস। চুঁচুড়া কারবালা মোড় এলাকার বাসিন্দা প্রাক্তন স্বাস্থ্য কর্মী মনোরঞ্জন দাসের মেয়ে কাকলি। নিজেই পছন্দ করে অয়নকে বিয়ে করেছিলেন। মনোরঞ্জন জানান,বিয়ের পর হাতে গোনা কয়েকবার তাঁর বাড়িতে এসেছেন অয়ন। ইদানীং আর সেই রকম কোনও যোগাযোগও রাখেন না। তবে সোমবারও মেয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি। তাঁর মেয়ে এখন দিল্লিতে। বাবার সঙ্গে ফোনে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন বলে জানালেন মনোরঞ্জন।

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই ভেঙে পড়েছেন বৃদ্ধ মনোরঞ্জন। তিনি অয়নের মা বাবার সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন। ভাঙা গলায় মনোরঞ্জন বলেন, “অয়নের বাবা সদানন্দ শীল আমার কাছে আক্ষেপ করে বলেছিলেন ছাত্রদের পড়িয়ে মানুষ করি। কিন্তু নিজের ছেলের বেলায় অন্যরকম হয়ে গেল।”

অয়নের শ্বশুরের কথায়, “আমি মনে করি আমার মেয়ে এত গভীর ভাবে বিষয়টা জানত না। ও জানলে আমরাও জানতে পারতাম। আর জানলে সৎ উপদেশ দিতাম। সৎ ভাবে বাঁচার কথা বলতাম। আসলে ওকে ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা জানতাম না এত কিছু।” জামাই যে প্রোমোটারি করেন, সেটাই তাঁরা জানতেন। তাঁর কথায়,”অয়ন পরিস্থিতির শিকার হয়েছে। তবে আমার মেয়ে নিরপরাধ।” অয়ন আপাতত ইডি-র জালে। আর তদন্তকারীরা বলছেন, প্রতারণার সিঁড়িতে পা দিয়ে কুন্তল, শান্তনুর থেকেও অনেক ওপরে উঠতে চেয়েছিলেন অয়ন। অয়নকে বাগে পেয়ে ইডি আধিকারিকরা আদতে ‘সোনার খনি’রই খোঁজ পেয়েছেন।

Next Article