Bank Fraud Case: মাত্র একটা মেসেজ, তাতেই অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও সাড়ে ৩ লক্ষ, মাথায় হাত বৃদ্ধের!
Hooghly: উত্তরপাড়ার আর কে স্ট্রীটের একটি আবাসনের বাসিন্দা ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় প্রাক্তন রেল কর্মী। ২০০২ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসর নেন।অবসরের কিছু টাকা তিনি উত্তরপাড়ার তিনটে ব্যাঙ্কে জমা রাখেন
হুগলি: ফোনের সিম কার্ড আপডেট না করলে তা ব্লক হয়ে যাবে। ফোনে এই মেসেজ পেয়ে কী করবেন বুঝে উঠতে পারেননি অশীতিপর বৃদ্ধ ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়। এদিকে ফোন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয়ে মেসেজটিকেই ফেলে দিতে পারেননি তিনি। সেই মেসেজের দেওয়া নিয়ম মেনেই সিম কার্ড আপডেট করতে যান তিনি। ব্যস! তাতেই সব শেষ। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট (Bank account) থেকে উধাও হয়ে গেল ৩ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা! নেপথ্যে জামতাড়া গ্যাং। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি উত্তরপাড়ার।
উত্তরপাড়ার আর কে স্ট্রীটের একটি আবাসনের বাসিন্দা ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় প্রাক্তন রেল কর্মী। ২০০২ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসর নেন।অবসরের কিছু টাকা তিনি উত্তরপাড়ার তিনটে ব্যাঙ্কে জমা রাখেন। ২৬ অক্টোবর তার মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। বলা হয় তাঁর সিম কার্ডটি আপডেট করতে হবে, না হলে ব্লক হয়ে যাবে কার্ড। মেসেজের তলায় একটি ফোন নম্বর দেওয়া হয়। ফাল্গুনীবাবু ওই নম্বরে ফোন করেন। তাঁকে কলের অপরপ্রান্ত থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় একটি বিশেষ অ্যাপ ডাউনলোড করে সেখান থেকে ১০ টাকা পাঠিয়ে দিতে।
ফাল্গুনীবাবু দশ-বারো বছর অনলাইনে কেনাকাটা ও নানা কাজ করে আসছেন। তাই তিনি ভাবতে পারেননি ওই অ্যাপ আসলে ফাঁদ। তিনি সেই ফাঁদে পা দেন। আর তার তিনটে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৩লক্ষ ৬২ হাজার টাকা সরিয়ে ফেলে প্রতারক। টাকা ডেবিটের কোনো মেসেজ পাননি বৃদ্ধ। তিনি যখন জানতে পারেন তখন অ্যাকাউন্ট ফাঁকা হয়ে গিয়েছে।
বৃদ্ধ ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “আমি গত ১২-১৩ বছর ধরে অনলাইনে কেনাকাটা করি। গত ২৬ অক্টোবর হঠাৎ করে মেসেজ আসে সিম কার্ড আপডেট করার। না হলে সিম কার্ড ব্লক করে দেওয়া হবেও বলা হয়। ওই মেসেজে একটি নম্বর দেওয়া হয়েছিল। সেখানে ফোন করলে আমাকে বলা হয়, একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে এবং ১০ টাকা পাঠাতে। এটা করার পর আমার অ্যাকাউন্ট থেকে ৩ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়। ওরা কথার জালে আমাকে জড়িয়ে প্রতারণা করেছে।”
এ নিয়ে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করেছেন ফাল্গুনী। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার সেলের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘একাধিক অ্যাপ আছে যা না বুঝে মোবাইলে ডাউনলোড করলেই সর্বনাশ। অ্যাপ চালু হতেই মোবাইল প্রতারকদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত কোনও কিছুই আর প্রতারিত জানতে পারেন না। তাই তৎক্ষণাৎ বুঝতে পারেন না প্রতারণার কথা। যখন জানতে পারেন তখন অ্যাকাউন্ট ফাঁকা হয়ে যায়।’’
আরও পড়ুন: Uttarakhand: হুড়মুড়িয়ে খাদের মধ্যে পড়ে গেল গাড়ি, নিমেষেই মৃত্যু ৫ বাঙালি পর্যটকের!
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: ‘যেদিন স্যান্ডো গেঞ্জির পকেট তৈরি হবে, সেদিন প্রধানমন্ত্রী হবেন দিদিমণি’