ভদ্রেশ্বর: পরিবারের লোকজনের সঙ্গেই ঘুমাচ্ছিল যুবক। আচমকা পেটে ছুরি। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত বলে ঘোষণা করে দেন চিকিৎসকেরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনা হুগলির ভদ্রেশ্বরে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এমনটা ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের। যদিও এ ঘটনাও এখনও পর্যন্ত কাউকে ধরা সম্ভব হয়নি।
মৃতের নাম গুড্ডু যাদব। বয়স ২৫। স্থানীয় সূত্রে খবর, ভদ্রেশ্বর পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে খুঁরিগাছি এলাকায় খাটাল রয়েছে যাদবদের। খাটালের ভিতর চৌকিতে ভাইয়ের সঙ্গে শুয়েছিলেন গুড্ডু। সঙ্গে ছিল জামাইবাবু, দাদুও। অভিযোগ, ভোর তিনটে নাগাদ খাটালে ঢোকে এই দুষ্কৃতী। তারপরই সোজা চলে যায় গুড্ডুর কাছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। ঘুম ভেঙে যায় গুড্ডুর ভাইয়ের। সে চিকিৎকার করতেই চম্পট দেয় আততীয়। তবে তার পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
এদিকে ততক্ষণে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে গুড্ডু। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে টোটো করে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে যায় ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ। আসেন চন্দননগর পুলিশের গোয়েন্দারাও। শুরু হয়েছে তদন্ত। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ব্যাক্তিগত শত্রুতার জেরে এই খুন হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু, নেপথ্যে কে আছে তা জানার চেষ্টা চলছে। এলাকার লোকজন বলছেন, খাটালে প্রায়শই বাইরের লোকজনের আনাগোনা ছিল। তাদের কারও কাজ হয়ে থাকতে পারে। চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানাচ্ছেন,পরিবারের পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। সেখান থেকে কিছু সূত্র মিলেছে। সেই সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।