চন্দননগর: একদিকে রাজ্যের কোভিডগ্রাফ ছুটছে। তারই মধ্যে আবার চার পুরনিগমের ভোট। জোর কদমে চলছে সেই ভোটের প্রস্তুতিও। কিন্তু আদৌ মেনে চলা হচ্ছে করোনা বিধি? এদিনের বিজেপির ভোট প্রচারে অন্তত তেমনটা চোখে পড়ল না।নির্বাচন কমিশনের বিধি অমান্য করেই মিছিল বিজেপির (BJP)। সেই কারণে বাধা দেয় পুলিশ। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য চন্দননগরে।
রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে চন্দননগর পুরনিগমের ২৬নম্বর ওয়ার্ডের মালাপাড়া কালীতলায়। ওই ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সন্ধ্যা দাস এদিন প্রচারে বের হন। তাঁর সঙ্গে পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ। এছাড়াও ছিলেন বিজেপির হুগলী সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার, যুব মোর্চার হুগলী সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুরেশ সাউ। এখানেই শেষ নয়। পাশাপাশি মিছিলে প্রায় কম করে শ’খানেক বিজেপি কর্মী অংশগ্রহণ করেন।
এই বিষয়ে বিধায়ক বিমান ঘোষ বলেন, “একটু আগে দেখলাম মিছিল তৃণমূলের মিছিল হচ্ছে। তার আগে দেখলাম সিপিআইএম এর মিছিল হচ্ছে। এদিকে যেই আমরা বেরিয়েছি অমনি পুলিশ বাধা দিচ্ছে। বিজেপি দেখেই পুলিশ এমন করছে। যখন গঙ্গাসাগরে মেলা হয় তখন করোনা ছড়ায় না? আর করোনার ভয় থাকলে ভোট করছে কেন? ভোট পড়ে করা যেত না? আসলে বিজেপিকে বাধা দেওয়ার জন্যই এই কাজ করছে সরকার। ভোটের দিনও মানুষ বেরোবো। তখন করোনা হবে না? আমার নির্বাচন কমিশনের বিধি মেনেই মিছিল করব।”
এবার করোনাবিধি ভেঙে যেহেতু প্রচার চলছিল। সেই কারণে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণ বচসাও বাধে পুলিশের সঙ্গে। এরপর পাঁচজন নিয়ে প্রচার করতে রাজি হয় বিজেপি। কিন্তু পুনরায় সেই প্রচারে দেখা যায় অধিক লোক রয়েছে। এরপরই পুলিশ মহামারী আইন গ্রেফতার করে পুরশুরার বিধায়ক বিমান ঘোষ, সভাপতি তুষার মজুমদার, যুব সভাপতি সুরেশ সাউ, স্থানীয় প্রার্থী সন্ধ্যা দাস সহ বেশ কয়েকজনকে। পরে অবশ্য ছাড়াও পেয়ে যান প্রত্যেকে।
ছাড়া পাওয়ার পর বিমান ঘোষ বলেন, “আজকে আমারা ২৬ নং ওয়ার্ডে প্রচারে বেরোই। পাঁচজন বেরোই। কিন্তু অনেক সমর্থক ধীরে ধীরে মিছিলে পা মেলাতে থাকেন। তখন পুলিশ এসে আমাদের কার্যকর্তাদের তুলে নিয়ে যায়। প্রায় কুড়িজন পুলিশ আসে। আমাদের কার্যকর্তাদের তুলতে। আসলে পুলিশ তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কাজ করছে। কই একই ওয়ার্ডে তৃণমূল, সিপিআইএম এর প্রচারেতো পুলিশ কিছু বলল না।”
এদিকে এই বিষয়ে কল্যাণ ঘোষ বলেন, “করোনা বিধি ভঙ্গ করলে অন্যায় করছে। গোটা বিজেপি দলটাই অনৈতিক কাজ করে। আমি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানাব যাতে পুরো বিষয়টি তাঁরা নজর রাখে। ”