সিঙ্গুর: কয়েকদিন আগেই হাওড়ার এক প্রশাসনিক সভা থেকে কাশফুলের বাণিজ্যিক গুরুত্বের কথা তুলে ধরতে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee)। জোরালো সওয়াল করেছিলেন কাশফুলের তৈরি বালিশ-বালাপোষের হয়ে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালেও জোর চর্চা শুরু হয়। এমনকী বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে পড়েছিলেন মমতা। এবার একেবারে বালিশের খোল নিয়ে সিঙ্গুরে (Singur) চলে গেলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বালিশ আর কাশফুল হাতে নিয়ে হাসিমুখে দিলীপকে বলতে শোনা গেল, “বালিশ হবে কিনা আমরা দেখব। বালিশের ওয়ারও নিয়ে এসেছি। কাশফুল দিয়ে কীভাবে বালিশ তৈরি করা যায় আমরা সেই টেকনোলজি ব্যাবহার করার চেষ্টা করছি।”
পাশাপাশি সিঙ্গুরের শিল্প সম্ভাবনাকে সমূলে নষ্ট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন সিঙ্গুরে পা রেখে আরও একবার এ কথাই বলার চেষ্টা করলেন দিলীপ। একইসঙ্গে সিঙ্গুর থেকে টাটা বিদায় নিয়ে মমতাকে আক্রমণ করার পাশাপাশি গুজরাটে ন্যানো ফ্যাক্টরি তৈরি নিয়ে বিজেপি সরকারেরও প্রশংসাও করলেন তিনি। এদিন সিঙ্গুর থেকে দিলীপকে বলতে শোনা যায়, দুর্গাপুজো এসে গিয়েছে। চারদিকে আয়োজন চোখে পড়েছে। আমি দেখতে এলাম সিঙ্গুরের অবস্থা কী। এখানকার লোকেরা কী ভাবছেন। সেই বিখ্যাত সিঙ্গুর যেখানে টাটাদের কারখানা বন্ধ করে দিয়ে ভোট নিয়ে এখানে সরকার এসেছিল। কিন্তু, এখানে শিল্পও নেই, এখানে কৃষিও নেই। এখানে কাশফুল আছে। যারা শিল্পের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন তাঁরা ন্যানো শিল্প বন্ধ করে দিয়ে কাশফুল দিয়ে বালিশ তৈরির কথা বলছেন। তাঁরা ঘুগনি, চপ মুড়ির কথা বলছেন। এ দিয়ে কী বাংলা এগোবে? সিঙ্গুর থেকে ন্যানো চলে গিয়েছে গুজরাটে। সেখানে বিজেপির সরকার ছিল বলে তাঁরা শিল্প করতে পেরেছে। বাংলার মানুষ তারপর ন্যানো চড়েছেন। এখানেও ন্যানো না হলে অন্য কোনও শিল্প হতে পারত তো। মানুষ ভরসা করে জমি দিয়েছিল। কিন্তু শেষে কিছুই হল না।”
একইসঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোপ দেগে এদিন ফের দিলীপকে বলতে শোনা যায়, “দুর্নীতি হয়েছে সেটা প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে। এসএসসি অফিস থেকে যে লিস্টএসেছিল তা বদল হয়ে গিয়েছিল। এখন কোর্ট চাইছে যাঁরা সত্যিকারের চাকরির দাবিদার তাঁদের চাকরি দিতে। যাঁরা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের সরিয়ে তাঁদের চাকরি দেবে কোর্ট। এটাই হওয়া উচিত।” এদিন সিঙ্গুরের টাটা কারখানার মাঠ পরিদর্শন করার পর ডানকুনি তে চা চক্রে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ।