Bansberia: ‘কলতলার বিবাদ’ বদলে গেল রাজনীতির তরজায়, বাঁশবেড়িয়ায় বিজেপি-তৃণমূল চাপানউতর
BJP vs TMC: বিজেপি নেত্রী বলেন, "মাতৃগর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া তৃণমূল কর্মীরা সেই মাতৃগর্ভেই লাথি মারছে। এটাই এদের সংস্কৃতি। নারীদের সম্মান তো দেয় না, নির্যাতনও করে এইভাবে।"
বাঁশবেড়িয়া: কল নিয়ে বিবাদের জের। আর তার জেরেই বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতির পরিবারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। ওই বিজেপি নেতার সাড়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের পেটে লাথি মারার অভিযোগও উঠেছিল। অভিযুক্ত ওই প্রতিবেশী এলাকায় তৃণমূল (TMC) কর্মী বলেই পরিচিত। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছিল হুগলির বাঁশবেড়িয়া এলাকায়। আর কল নিয়ে এই বিবাদকে কেন্দ্র করে চড়তে শুরু করেছে রাজনীতির পারদ। সোমবার আক্রান্ত বিজেপি নেতার বাড়িতে গিয়েছিলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। সেখানে গিয়ে কথা বলেন আক্রান্তের সঙ্গে। সঙ্গে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান রাজ্যের শাসক শিবিরকে।
বিজেপি নেত্রী বলেন, “মাতৃগর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া তৃণমূল কর্মীরা সেই মাতৃগর্ভেই লাথি মারছে। এটাই এদের সংস্কৃতি। নারীদের সম্মান তো দেয় না, নির্যাতনও করে এইভাবে। লোকচক্ষুর সামনে এই ঘটনা ঘটেছে বলে তাদের গ্রেফতার করে তুলে নিয়ে যাওয়া হল। কিছুদিন পরে যখন ইস্যুটি ঠান্ডা হয়ে যাবে, তখন আবার ছেড়ে দেওয়া হবে। এটি তৃণমূলের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। কড়া শাস্তি হওয়া উচিত। রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রীরও এই বিষয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
যদিও এই ঘটনায় কোনওরকম রাজনীতির যোগ নেই বলেই দাবি করছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের বক্তব্য, যেটি ঘটেছে, তা নিন্দনীয়। খুব খারাপ হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন এর জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে। বাঁশবেড়িয়া পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন তথা হুগলি জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী শিল্পী চট্টোপাধ্যায় এই বিষয়ে বলেন, এটি একেবারেই পাড়াগত একটি বিবাদকে কেন্দ্র করে ঘটেছে। সেখানে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় রাজনীতি করতে চলে এলেন। এখানে কোনও রাজনীতির নামগন্ধ নেই। উনি কেন এমন করলেন জানি না। একটা কল নিয়ে সমস্যা ছিল। আমি স্থানীয় কাউন্সিলরকে নিয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। ওদের দাবি মত কলটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”
সঙ্গে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রীর আরও বক্তব্য, “আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা সারা বছর মানুষের পাশে থাকি। আর বিজেপি ভোটের রাজনীতি করে। সামনে পঞ্চায়েত ভোট আসছে, তার আগে রাজনীতি করতে চলে এসেছেন লকেট দেবী। উনি বলছেন নারীদের উপর নির্যাতনের কথা,বিজেপি শাসিত রাজ্যে সবথেকে বেশি নারী নির্যাতন হয়। ঘটনায় দোষীরা জেলে আছে। এটাই তৃণমূল। দোষীদের আড়াল করে না, কোনও দল দেখে না।”