চন্দননগর: গ্রেফতার চন্দননগর আদালতের আইনজীবী। বেকসুর ব্যক্তিদের শ্লীলতাহানি ও পকসো মামলায় ফাঁসিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল তাঁকে। শুক্রবার তাঁকে শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হলে চার দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই একটি প্রতারণা চক্র গজিয়ে উঠেছিল চন্দননগরে। যারা টাকার জন্য পকসো, শ্লীলতাহানির মতো কেসে নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসিয়ে টাকা তুলত। অভিযোগ, সেই চক্রের মাথা ছিলেন চন্দননগর আদালতের অভিযুক্ত এই আইনজীবী। এই রকমই একটি ভুক্তভোগী হয়ে মামলা করেন শ্রীরামপুর আদালতের আইনজীবী অভিজিৎ লায়েক। গত ১০ মে তিনি বিষয়টি নিয়ে চন্দননগর আদালতে মামলা করতে এলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে।
শুধু তাই নয়, অভিজিৎবাবুর দাবি, তাঁর বাড়িতে যায় অভিযুক্ত আইনজীবীর পাঠানো দুষ্কৃতীরা। মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিতে থাকে। শেষে তিনি শ্রীরামপুর আদালতের দ্বারস্থ হন। শ্রীরামপুর আদালতের এসিজেএম সেই অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে দেখেন। তারপর চন্দননগর পুলিশের এসিপি-২ কে অভিযোগের সত্যতা অনুসন্ধান করতে বলেন। এসিপি-২ খতিয়ে দেখেন যে অভিযোগ সত্যি। সেই মোতাবেক তিনি রিপোর্টও জমা করেন।
পরে অভিযুক্ত আইনজীবীকে আদালতে হাজিরা দিতে সমন পাঠানো হয়। তবে অভিযুক্ত হাজিরা দেননি। তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট বের হয়। এরপর শুক্রবার চন্দননগর পালপাড়া থেকে আইনজীবীকে গ্রেফতার করে শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হয়। আদালত তাঁকে চার দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
মামলাকারী শ্রীরামপুর আদালতের আইনজীবী অভিজিৎ লায়েক বলেন,”ওই আইনজীবী দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের একটা চক্র চালাচ্ছে। উনি ওনার কয়েকজন বান্ধবীকে দিয়ে নিরীহ মানুষদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসান। চন্দননগর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার অনেক মানুষ এই চক্রের শিকার। আমার কাছে যা তথ্য আছে এখনো পর্যন্ত ৪ লক্ষ টাকার উপর তোলা হয়েছে। জানা নেই এমন কতজনের কাছ থেকে এইভাবে টাকা তুলেছে। এরপর আমি শ্রীরামপুর আদালতের দ্বারস্থ হই। আইন অনুযায়ী বিচার হোক এটাই চাই।”