চুঁচুড়া: চুঁচুড়ার (Chinsurah) ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে গুলি চালানোর ঘটনা এখনও আবছা হয়ে যায়নি। চুঁচুড়া রবীন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দা কুখ্যাত দুষ্কৃতী টোটন বিশ্বাসকে গুলি করে খুন করার চেষ্টা করেছিল তার বিরুদ্ধ গোষ্ঠী। প্রাণে বাঁচলেও পেটে গুলি লেগে গুরুতর জখম হয়েছিল টোটন। টোটন বর্তমানে জেলবন্দি। কিন্তু পুলিশ সূত্রে খবর, তার দলবল এখনও এলাকায় সক্রিয় রয়েছে। অতীতে টোটনের ডেরায় অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিল পুলিশ। রবীন্দ্রনগর এলাকার মানুষজন টোটনের ভয়ে জড়সড় হয়ে থাকে। কোনও ঘটনা ঘটলে চুঁচুড়া থানার পুলিশ সেখানে পৌঁছানোর আগে পগারপার হয়ে যায় টোটনের দলবল। এবার সেই টোটনের ডেরায় স্থায়ী ক্যাম্প খুলল পুলিশ।
এলাকায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা করতে এবং মানুষের মধ্যে আস্থা ফেরাতে, তাঁদের মনে সাহস যোগাতে এই স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের প্রয়োজন ছিল বলেই মনে করছেন এলাকাবাসীরা। রবীন্দ্রনগরে অব্যবহৃত মঙ্গল পাণ্ডে পুলিশ আবাসনে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন এই স্থায়ী ক্যাম্পের উদ্বোধন করলেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশন অমিত পি জাভালগি। আপাতত এই পুলিশ ক্যাম্পে থাকবেন একজন এসআই, একজন এএসআই পদপর্যাদার আধিকারিক। সঙ্গে ছয়জন পুলিশ কনস্টেবল ও চারজন সিভিক ভলান্টিয়ারও থাকবেন সেখানে।
পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানিয়েছেন, রবীন্দ্র নগর ভুল কারণে পরিচিতি পেয়েছে। এলাকায় অনেক ভাল ও শিক্ষিত মানুষ থাকেন। তাই মানুষের পাশে থেকে, তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের কর্তব্য বলে জানান তিনি। এদিন পুলিশ ক্যাম্প উদ্বোধনের পর এলাকার প্রবীণদের মধ্যে শ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত ও ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে অভিধান বিতরণ করা হয়। বাসিন্দার পুলিশ ক্যাম্প থেকে সবরকম প্রয়োজনীয় পরিষেবা দেওয়া হবে। প্রজাতন্ত্র দিবসে চন্দননগর পুলিশের পক্ষ থেকে অনলাইন পরিষেবারও সূচনা করা হয়। কারও কিছু খোয়া গেলে অনলাইনে জেনারেল ডায়েরি করা যাবে,পুলিশ ক্লিয়ারিং সার্টিফিকেটও পাওয়া যাবে অনলাইনে। সেই সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়ার জন্য আবেদনও অনলাইনে করা যাবে।