কোন্নগর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন গঙ্গা আরতির। তাঁর সেই ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়েই কোন্নগরের বারো মন্দির ঘাটে শুরু হল গঙ্গা আরতি। জানা গিয়েছে, এবার থেকে রোজ এই আরতি হবে বারো মন্দির ঘাটে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এর শুভ সূচনা হয়। এ দিন, গঙ্গা আরতি দেখতে ভিড় জমে ঘাটে।
দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মত এরাজ্যের গঙ্গার ঘাটে সন্ধারতি করার কথা। তারপরই কোন্নগর পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন দাস দু’দিন আগে কাউন্সিলর ও আধিকারীকদের নিয়ে বারো মন্দির ঘাট পরিদর্শন করেন। এবং জানান গঙ্গা আরতি হবে বারো মন্দির ঘাটে। সেই মতো বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয় আরতি। শঙ্করাচার্য মঠের পণ্ডিতরা এদিন গঙ্গা আরতি করেন। অসাধারণ এই দৃশ্য দেখতে ভিড় জমে যায় গঙ্গারঘাটে। স্থানীয় বাসিন্দা যাঁরা এদিন আরতি দেখতে আসেন তাঁরা খুশি গঙ্গার ঘাটে এমন একটা পরিবেশ পেয়ে।
শঙ্করাচার্য মঠের পিঠ পুরোহিত, পণ্ডিত রবি শঙ্কর শাস্ত্রী রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানান। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘মা গঙ্গার আরতি যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। গঙ্গোত্রী থেকে শুরু করে গঙ্গা যতদূর অবধি গঙ্গা বইছে, ততদিন অবধি আরতি করা উচিত। পূর্বপুরুষদের শ্রদ্ধার্ঘ্য ও একই সঙ্গে মা গঙ্গার বন্দনা মাতৃ বন্দনা সমতুল্য। গঙ্গা আরতি করার মাধ্যমে মানুষের সমস্ত পাপ ধুয়ে যায়।’