হুগলি: ডুবেছে বিঘার পর বিঘা জমি। প্লাবিত হয়েছে বেশ কয়েকটি জেলা। একদিকে যেমন জলবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ অন্যদিকে কৃষি জমি প্লাবিত হওয়ার ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে দামোদর নদ সংলগ্ন এলাকায় চাষীরা। বিশেষ করে বর্ধমানের জামালপুর, হুগলির ধনিয়াখালি, তারকেশ্বর, জাঙ্গিপাড়া, হাওড়ার উদয়নারায়নপুর এলাকার হাজার হাজার বিঘা জমিতে নষ্ট হয়েছে ফসল। হুগলি জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে জেলায় জলমগ্ন হয়েছে প্রায় আট হাজার হেক্টর ধান জমি। তালিকায় আছে দু থেকে আড়াই হাজার হেক্টর সবজির ক্ষেত।
ইতিমধ্যেই প্লাবিত কৃষি জমি থেকে নেমেছে বন্যার জল। জল নেমে গেলেও নষ্ট হয়ে গেছে সমস্ত সবজি। ধনিয়াখালি, তারকেশ্বর, জাঙ্গিপাড়া দামোদর নদ সংলগ্ন কৃষি জমিতে এই সময় মূলত বরবটি, ফুলকপি, বেগুন, পটল, শসার দেদার চাষ হয়। কিন্তু, আচমকা প্লাবনে সব শেষ। ফলে আগামী দু থেকে তিন মাস পাইকারি সবজি বাজারে সবজির যোগান দিতে পারবেন না এই এলাকার কৃষকরা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলে পাইকারি বাজারে সবজির জোগান ঠিকঠাক না হলে অচিরেই যে সবজির দাম আকাশ ছোঁয়া হয়ে যাবে তা মানছেন কৃষকেরা।
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে। চাষিদের দাবি সবজি চাষের ক্ষেত্রে তো কোনও শস্য বীমা হয় না। তাহলে তারা কিভাবে পাবেন ক্ষতিপূরণ? ঘুরছে প্রশ্ন। এদিকে সামনেই দুর্গাপুজো। কিন্তু ঠিক তার আগে এই অবস্থায় কীভাবে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাবেন তা ভেবেই মাথায় হাত কৃষকদের। তাঁদের একটাই দাবি, পাশে দাঁড়াক সরকার। তাহলেই একটু হলেও বদলাতে পারে পরিস্থিতি।