ডানকুনি: স্বামীর রেখে যাওয়া জমিই ভরসা বৃদ্ধার। কিন্তু সেই জমিই দখলের অভিযোগ উঠল। বৃদ্ধার দাবি, এলাকার কাউন্সিলরের মদতেই বেদখল হয়েছে জমি। এখন জমি ফিরে পেতে প্রশাসনের দুয়ারে-দুয়ারে ঘুরছেন বৃদ্ধা। অভিযোগ অস্বীকার কাউন্সিলরের।
হুগলির ডানকুনি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মঞ্জুরানি ঘোষাল। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের রায়পাড়া এলাকায় তাঁর চারকাঠা জমি রয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য কোটি টাকার কাছাকছি। মঞ্জুদেবীর স্বামী মারা গিয়েছেন বছর তিনেক আগে। তাঁর দুই ছেলে রয়েছে। বাইরে চাকরি করেন। বর্তমানে বাড়িতে একাই থাকতেন মঞ্জরানি দেবী। তবে গত কয়েক মাস ধরে বাড়িতেও থাকতে পারছিলেন না তিনি।
মঞ্জু দেবীর অভিযোগ, নিজের জমি জোর পূর্বক দখল করে রেখেছেন ১৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শুভজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর দলবল। জায়গাটি দখলের জন্য একাধিকবার মঞ্জুরানি দেবীকে হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। গত বছর মে মাসে জায়গাটি সুরক্ষিত রাখার জন্য মঞ্জুরানি দেবীর পৌরসভার অনুমতি নিয়ে পাঁচিল দিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সীমানা পাঁচিলও নাকি ভেঙে দিয়েছেন অভিযুক্ত কাউন্সিলর ও তাঁর দলবল। পাঁচিল ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি ওই জায়গায় বসানো হয়েছে গাছ। ফুটবল খেলার গোল পোস্টও পুঁতে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বৃদ্ধার।
এই নিয়ে ডানকুনি থানায় তিনি অভিযুক্ত কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন। পাশাপাশি পৌরসভা সহ এলাকার বিধায়ক থেকে মন্ত্রী সকলের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। তবে মেলেনি কোনও সুরাহা বলে দাবি বৃদ্ধার।
যদিও কাউন্সিলর শুভজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বলেছেন, “আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যে জায়গার কথা বলা হচ্ছে সেটা এলাকার খেলার মাঠ। এটা পাড়াগত সমস্যা হয়ে থাকতে পারে। তবে আমার নাম কেন জড়াল আমি জানি না। এই নিয়ে মঞ্জুরানি দেবী কিছুই জানাননি।” অন্যদিকে, ডানকুনি পৌরসভার পুর প্রধান হাসিনা শবনম বলেন, “মঞ্জুরানি ঘোষাল পৌরসভার অনুমতি নিয়েই তাঁর নিজের জায়গায় সীমানা পাঁচিল দিয়েছিলেন। যারা দখল করার চেষ্টা করছে বা বৃদ্ধাকে হেনস্থা করছে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করব পুলিশকে।”