ব্যান্ডেল : লোকাল থেকে শুরু করে দূরপাল্লা, প্রতিনিয়ত বহু ট্রেনের আনাগোনা হাওড়া স্টেশনে। পশ্চিমঙ্গের এই জংশনের মাধ্যমে যাতায়াত করেন লক্ষ লক্ষ যাত্রী। নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে দূরের যাত্রীদের অন্যতম ভরসা এই স্টেশন। কিন্তু একদিকে যেমন ট্রেনের সংখ্যা বাড়ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যাত্রী সংখ্যা। চাপ ক্রমশ বাড়ছে এই স্টেশনের ওপর। তাই বিকল্প তৈরির কথা অনেক দিন ধরেই আলোচনা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। আর এবার ডানকুনি স্টেশনকে বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করার কথা জানানো হল রেলের তরফে। সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন হাওড়ার ডিআরএম মনিশ জৈন।
সম্প্রতি ব্য়ান্ডের স্টেশনে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু কাজ হয়। শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছিল ওই স্টেশন। সোমবার সেই স্টেশন পরিদর্শনে এসেই রেলের ওই উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, হাওড়ার ওপর থেকে দূর পাল্লার ট্রেনের চাপ কমাতে ডানকুনি স্টেশনকে বিকল্প হিসেবে ভাবছে রেল। তাঁর দাবি, হাওড়ার বিকল্প কখনই ব্যান্ডেল হতে পারে না, কারণ, হাওড়ায় মূলত কলকাতা ও আশেপাশের অঞ্চলের যাত্রীদের চাপ বেশি। তাই ডানকুনি স্টেশনে ভবিষ্যতে কোচিং কমপ্লেক্স তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ দিন মূলত, ব্যান্ডেলের রেল সুরক্ষা পরিদর্শনে আসেন হাওড়া ডিআরএম মনিশ জৈন। সঙ্গে ছিলেন, চিফ রেলওয়ে সেফটি কমিশনার শুভময় মিত্রও। এ দিন রেললাইন খতিয়ে দেখার পর ডিআরএম বলেন, ইআই সিস্টেম চালু হয়ে গিয়েছে। সিআরএস ইন্সপেকশনের পর ছাড়পত্র দিলেই থার্ড লাইনে ট্রেন চালু হয়ে যাবে সোমবার সন্ধ্য়া থাকে। ইআই চালু হওয়ায় ট্রেনের গতি বাড়বে বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, দুর্ঘটনার প্রবণতা কমবে বলেও তিনি দাবি করেছেন। গোটা ব্যবস্থাটাই ইলেকট্রনিক হওয়ায় রুটে ট্রেন চলাচল সহজ হবে বলে মন্তব্য করেছেন ডিআরএম।
মঙ্গলবার থেকে ব্যান্ডেল স্টেশনের প্লাটফর্ম গুলোর নম্বর পরিবর্তন হয়ে যাবে। এক থেকে সাত পর্যন্ত প্লাটফর্ম করা হয়েছে। আগে যা ছিল ১এ, ১বি, ১, ২, ৩, ৪, ৫।