Hooghly: এতদিন ত্রিবেণীবাসির দাঁত তুলছিলেন এই ভুয়ো দাঁতের ডাক্তার! হাতেনাতে গ্রেফতার
Fake dentist: দেখা যায় রীতিমতো প্যাড ছাপিয়ে ডাক্তারি করছেন তিনি।
হুগলি: এলকায় জমিয়ে বসিয়েছেন ব্যবসা। রোগীও আছে বেশ কয়েকজন। ওষুধ দিচ্ছেন। লিখছেন প্রেসক্রিপসন। রমরমিয়ে ব্যবসা চলছিল ভালোই। কিন্তু কাল হল যখন তিনি সন্দেহের নজরে পড়লেন এলাকাবাসীর। খবর গেল পুলিশে। আর তারপরই এলাকা থেকে গ্রেফতার হল ভুয়ো দাঁতের চিকিৎসক।
জানা গিয়েছে ওই ভুয়ো চিকিৎসকের নাম প্রভাস চন্দ্র সাধু। বেশ কিছুদিন ধরে ত্রিবেনী স্টেশন রোডে ডেনটিস্ট হিসাবে চেম্বার করছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে ডিএসপি ক্রাইম দেবীদয়াল কুণ্ডুর অফিসে পিটিশান জমা পড়ে স্থানীয়দের।
এরপরই তদন্তে নেমে ত্রিবেনী স্টেশন রোডে প্রভাস সাধুর চেম্বারে হানা দেয় মগরা থানার পুলিশ (Magra Police)। দেখা যায় রীতিমতো প্যাড ছাপিয়ে ডাক্তারি করছেন তিনি। কিন্তু কোথা থেকে পাশ করেছেন,তাঁর রেজিস্ট্রেশন নম্বর কত এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি ওই ভুয়ো চিকিৎসক।
এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করে চুঁচুড়া আদালতে পাঠায় পুলিশ। ধৃতের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। হুগলি গ্রামীন পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, “ত্রিবেনী এলাকা থেকে পিটিশান জমা পরে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।আমরা তদন্তে তার কাছে কোনও রেজিস্ট্রেশন নম্বর পাইনি। ডাক্তার না হয়েও দাঁতের চিকিৎসা করতেন। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
এই রাজ্যে ভুয়োদের লিস্ট ক্রমশই লম্বা হয়েছে। গতকালও খবরে আসে এক ভুয়ো সাংবাদিক। জানা যায় বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থানার কৈজুড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাদুরিয়া গ্রাম। এখানেই বছর ২১-এর যুবক জনৈক জাহিদ খানকে গ্রেফতার করেছে স্বরূপনগর থানার পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ মারাত্মক। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় চারচাকা গাড়ি ছুটিয়ে পুলিশের নেকনজরে পড়েন তিনি। গাড়িতে লাগানো ছিল ‘প্রেস’ লেখা স্টিকার। পুলিশ গাড়ি আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা যায়, সাংবাদিকের স্টিকার লাগিয়ে বিভিন্ন কার্যকলাপ চালাতেন ওই যুবক। ধৃতের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করে আসছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃতের আদি বাড়ি বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলায়। তবে গত ৩ বছর আগে স্বরূপনগরের ভাদুরিয়া গ্রামে মামার বাড়িতে এসে বসবাস করতেন তিনি। সাংবাদিকের পরিচয় দিয়ে সবাইকে চমকে বেড়ালেও আদতে একটি ঠিকাদারি সংস্থায় কাজ করতেন ওই যুবক।
উত্তরপ্রদেশে মুরাদাবাদ একটি ঠিকাদার সংস্থায় কাজ করতেন ধৃত বলে পুলিশ সূত্রের খবর। তবে করোনা আবহে প্রথম লকডাউনে সে কাজ ছেড়ে মামার বাড়িতে এসে বসবাস শুরু করে জাহিদ। তার পর একটি চারচাকা গাড়ি কিনে তাতে প্রেসের স্টিকার লাগিয়ে সীমান্ত এলাকায় ঘুরে বেড়াতেন তিনি বলে অভিযোগ। এদেশে থাকার তাঁর কোনও বৈধ কাগজপত্র আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, সাংবাদিকের ভুয়ো স্টিকার লাগিয়ে নিজেকে সাংবাদিকের পরিচয় দিয়ে এলাকায় নানারকম কাণ্ডকারখানা করে বেড়াতেন এই যুবক। তাঁর গাড়িটিকে আটক করেছে পুলিশ। তাছাড়া যে বাড়িতে ধৃত বসবাস করতেন, সেই বাড়ির লোকজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে স্বরূপনগর থানার পুলিশ।