Hooghly: জোরে-জোরে বাজানো হচ্ছিল মাইক, বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত খোদ পুলিশকর্মীরাই
Police: একটা সময়ের পর তা চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়।
হুগলি: শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য বারবার সচেতনতার প্রচার চালানো হয়েছে। রয়েছে কড়া আইন। তাও যে নেই ভয় নেই মানুষের। কিছু-কিছু মানুষজন নিজেদের ভুল পদক্ষেপ থেকে যেন কোনও ভাবেই সরবেন না। সেই খবরই আরও একবার উঠে এল খবরে। লক্ষ্মী পুজোয় মাইক বাজানোকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা। পুলিশের সঙ্গেই ক্লাব সদস্যদের বেধে গেল খণ্ড যুদ্ধ।
জানা গিয়েছে, হুগলির (Hooghly)হরিপাল মশাই মোড়। সেখানের একটি ক্লাবে লক্ষ্মীপুজোর বিসর্জনের প্রস্তুতি চলছিল। কিন্তু সকাল থেকেই শুরু হয় মাইক বাজানো। একটা সময়ের পর তা অতিরিক্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায়। যার কারণে বিরক্ত হতে শুরু করেন এলাকাবাসী। পাড়ায় অসুস্থ রোগী রয়েছেন, সঙ্গে পড়ুয়ারা রয়েছেন অসুবিধায় পড়েন তাঁরাও।
এদিকে, সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও কিছুতেই বন্ধ করা যায়নি মাইকিং। খবর যায় পুলিশে। ঘটনাস্থানে পুলিশ এসে আটক করে কয়েকটি সাউন্ডবক্স। এরপরও বন্ধ হয়নি মাইকিং। ফের তারস্বরে মাইক বাজিয়ে একসঙ্গে কয়েকটি ক্লাবের সদস্য়রা সন্ধেয় বিসর্জনে বের হয়। ইতিমধ্যে খবর যায় পুলিশে। কিন্তু কোথায় কী! পুলিশের সঙ্গেই খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় ক্লাব সদস্যদের। প্রায় ১৫ থেকে ২০ পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলেন্টিয়ার আহত হয় ঘটনায়। তাঁদের প্রত্যেককে হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা। পরে RAF নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে দশমীর রাতে বালুরঘাট (Balurghat) শহরের উত্তর চকভবানী এলাকার একটি ক্লাবের সদস্যরা বালুরঘাট জেলা আদালতের এক মহিলা আইনজীবী বাড়ির সামনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নিষিদ্ধ আতশবাজি ফাটায়। বারবার এনিয়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষকে নিষেধ করলেও তারা কোনও কথা কানে তোলেনি বলেই অভিযোগ। বারণ করা সত্ত্বেও কিছুক্ষণ অন্যদিকে বাজি ফাটিয়ে ফের বাড়ির সামনে বাজি ফাটাতে থাকে তারা। ওই একই দিনে রাত সাড়ে এগারোটার পর ফের বাড়ির সামনে নিষিদ্ধ আতশবাজি ফোটানো হয়। সেই সময় ওই মহিলা আইনজীবীর বাবা বাড়ির বাইরে এসে এর প্রতিবাদ করেন।
অভিযোগ, প্রতিবাদ জানানোর সঙ্গে-সঙ্গে স্থানীয় ক্লাব সদস্যরা আইনজীবীর বাবাকে মারধর করে। বিষয়টি নজরে আসতেই ওই আইনজীবী তাঁর দিদি বাবাকে বাঁচাতে যান। সেই সময় তাঁকেও রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় এবং টানতে টানতে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনায় বাবা ও ওই মহিলা আইনজীবী জখম হন। বালুরঘাট সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে বাবা ও মেয়ে ভর্তি থাকার পর গতকাল রাতে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তাঁরা।
এরপরই বালুরঘাট থানায় মোট আটজনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেতেই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Tamluk: ‘আমার সুস্থ বাচ্চাটাকে ওরা মেরে ফেলল’, তিন মাসের মৃত শিশু কোলে, কেঁদে ভাসালেন মা