চণ্ডীতলা: একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ফাঁকা ঘরে ডেকে দেওয়া হয়েছে বিয়ের প্রস্তাব। এমনই অভিযোগ পড়ুয়ার পরিবারের সদস্যদের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা হুগলির চণ্ডীতলায়। এখানেই এক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠেছে এই গুরুতর অভিযোগ। ছাত্রীর বাবা বলছেন, গত পরশু স্কুলের একটি ফাঁকা ঘরে ঘটে এই ঘটনা। মেয়ে বাড়ি ফিরে ওর মাকে সবটা খুলে বললে আমরা জানতে পারি। ইতিমধ্যেই তিনি স্কুলের পরিচালন কমিটির কাছে এ বিষয়ে অভিযোগও জানিয়েছেন। কোনও সুরাহা না হলে তিনি শিক্ষা দফতরে অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
ক্ষোভে ফুঁসছেন ছাত্রীর মা। বলেন, আমাদের মেয়ের ব্রেন ওয়াশ করে ওঁর দিকে আকর্ষিত করার চেষ্টা করছিলেন। মেয়ের বয়সী ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছেন। ওঁর দ্রুত মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। ঘটনা চাউর হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এলাকার অন্যান্য অভিভাবকেরা। অভিযুক্ত শিক্ষকের অপসারণের দাবিও উঠেছে।
এরইমধ্যে চণ্ডীতলা-১ বিডিও অফিসে ছাত্রীর বাবাকে নিয়ে আলোচনা করেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি। তাঁরা ঘটনার কথা স্কুল শিক্ষা দফতরকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন। হুগলি জেলা পরিষদের সদস্য তথা এই স্কুলের জমিদাতা পরিবারের এক সদস্য বলেন, ওই স্কুলে আমি পড়েছি। আমার দাদুর নামে স্কুল। অভিযোগ যদি সত্যি হয় তাহলে সে যেই হোক তাঁর শাস্তি হওয়া উচিত। অন্যদিকে এদিন স্কুলে আসেননি অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক। জানা গিয়েছে, পিএফ সংক্রান্ত কাজে এক জায়গায় গিয়েছেন। তাঁর মোবাইলে ফোন করা হলে এক সহ শিক্ষিকা ফোন ধরে বলেন, প্রধান শিক্ষক অত্যন্ত সজ্জন মানুষ। ছাত্রীদের মেয়ের মত স্নেহ করেন। তিনি এই কাজ করতে পারেন না।