হুগলি: বাপেরবাড়ি যাচ্ছিলেন বৌদি। তার আগে থেকেই গলির মুখে ওঁত পেতে ছিলেন দেওর। মোড় ঘুরতেই আচমকা হাঁসুয়া নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন বৌদির ওপর। এলোপাথাড়ি কোপ মারতে থাকেন। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বৌদি। তাঁর আর্তনাদে ততক্ষণে প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে যান। অভিযুক্ত দেওরকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। ধারাল হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে বৌদিকে খুন করার অভিযোগ উঠল দেওরের বিরুদ্ধে! অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পোলবার আলিনগরে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম পানমনি হাঁসদা। অভিযুক্তের নাম অনিল হাঁসদা।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পোলবার আলিনগরের আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা পানমনি তাঁর বোন রানু হাঁসদাকে নিয়ে বাপের বাড়ি যাচ্ছিলেন। অভিযোগ আলিনগর পোলবা রোডের পাশের একটি ক্লাবে হাঁসুয়ায় শান দিয়ে অপেক্ষা করছিলেন অনিল।হঠাৎ করেই বৌদির উপর ঝঁপিয়ে পড়ে।
ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপাতো থাকেন বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে যান পানমনি। স্থানীয় বাসিন্দারা আহত অবস্থায় পানমনিকে উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পোলবা থানার পুলিশ পৌঁছয়। হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি ডিএন্ডটি প্রিয়ব্রত বক্সি আলিনগরে ঘটনাস্থলে যান।
ডিএসপি জানান, প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত একটি বাড়ি তৈরি করছিলেন। তাতে বাধা দেন পানমনি। এছাড়া অনিলের দাদার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল। সেই মৃত্যুর জন্য বৌদিকেই দায়ী করতেন অনিল, রাগ পুষে রেখেছিলেন। সেই রাগ থেকেই কুপিয়ে খুন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।
অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবদের সময় অনিল জানতে চান, ‘বৌদি কেমন আছেন?’ খুনে ব্যবহৃত হাঁসুয়া উদ্ধার করেছে পুলিশ। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মৃতার বোন রানু বলেন, “দিদির ঘরের দেওয়াল ঘেঁষে পাঁচিল তুলছিল অনিল। বারণ করায় ঝগড়া করে। আমরা বাপের বাড়ি যাচ্ছিলাম। হাঁসুয়া নিয়ে ক্লাবের সামনে ছিল, দিদিকে কুপিয়ে খুন করে।”