Hooghly: পুলিশের দিকে চটি ছুড়ে মারলেন BJP নেত্রী পম্পা!
Hooghly: এখানেই শেষ নয়, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শ্রীরামপুরের বিজেপি নেত্রী বলেন, "মহিলাদের মারধর করা হয়েছে। আমাদের উপরেও হামলা হয়েছে।" অপর এক বিজেপি কর্মীর রিম্পা চক্রবর্তী বলেন, "পুলিশ আমাদের ঠেলে সরিয়ে দিচ্ছে এদের চটি দেখাবো না তো কী দেখাব? এখন চটি দেখেছি এরপর চটি মালা পরিয়ে এদের তাড়াব।"
হুগলি: রাজ্যের মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনার বিচার চেয়ে জেলাশাসক অফিস ডাক দেয় বিজেপির। হুগলির তিন নম্বর গেট বিজেপি কার্যালয় থেকে মিছিল শুরু হয়ে ঘড়ির মোড়ের কাছে আসতেই পুলিশ মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে বিজেপি কর্মীরা পুলিশকে ঠেলে এগিয়ে যেতে থাকে। ব্যারিকেডের কাছে যেতেই পুলিশ আটকে দেয় সেই মিছিল। এরপরেই শুরু হয় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি। অভিযোগ, তখনই মহিলা বিজেপি কর্মীরা পুলিশকে উদ্দেশে জুতো ছুড়তে থাকে।
এ দিন, প্রথমে বিজেপির মহিলা কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে জুতো দেখাতে থাকেন। তারপর পুলিশের উদ্দেশে সেই জুতো ছুড়ে দিতে দেখা যায় এক মহিলাকে। বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক পম্পা অধিকারী জুতো ছড়া প্রসঙ্গে জানান, “সবাই দেখেছেন পুলিশ কীভাবে লাঠি দিয়ে মারধর করেছে। মেয়েদের লাঠি দিয়েও মারা হয়েছে। ওদের মুখে জুতোটা মারা উচিত ছিল। কিন্তু আমি সেটা করিনি। আমি ওদের দিকে ছুড়ে দিয়েছি। সামনে সেই পুলিশ অফিসার থাকলে আমি জুতোটা মুখে মারতাম। এখন খালি তো জুতোটা ছুড়ে দিয়েছি।”
এখানেই শেষ নয়, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শ্রীরামপুরের বিজেপি নেত্রী বলেন, “মহিলাদের মারধর করা হয়েছে। আমাদের উপরেও হামলা হয়েছে।” অপর এক বিজেপি কর্মীর রিম্পা চক্রবর্তী বলেন, “পুলিশ আমাদের ঠেলে সরিয়ে দিচ্ছে এদের চটি দেখাবো না তো কী দেখাব? এখন চটি দেখেছি এরপর চটি মালা পরিয়ে এদের তাড়াব।”
ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সম্পাদক দীপাজ্ঞন গুহ জানান, “এটা আমি দেখিনি। আমাদের কার্যকর্তারা এই ধরনের কার্যকালাপে বিশ্বাসী নয়। হিট অফ দ্য মুমেন্ট কেউ করে থাকতে পারে। তবে আমরা আজ যথেষ্ট শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছি। আমরা চাইলে পুলিশকে পায়ে মারিয়ে যেতে পারতাম। কিন্তু যাইনি। তাকে হয়ত এমনভাবে মেরেছে বা এমনভাবে উত্তেজিত করেছে। তিনি হিট অফ দ্যা মুমেন্ট এটা করেছে। তবে আমরা এই ব্যবহার সমর্থন করি না।”