AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Arambag: ‘কৃষকদের লুট করে মদ মাংস! তোর বাপের টাকা নাকি রে?’, বেলাগাম BJP MLA

Arambag: বুধবার চিংড়া সমবায় সমিতির ম্যানেজার প্রভুনাথ পোড়েলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সমবায় সমিতির অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। পাশাপাশি ডেপুটেশনও দেওয়া হয়।

Arambag: 'কৃষকদের লুট করে মদ মাংস! তোর বাপের টাকা নাকি রে?', বেলাগাম BJP MLA
খানাকুলের বিজেপি বিধায়কImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 31, 2025 | 10:10 AM
Share

আরামবাগ: হুগলির খানাকুলের চিংড়া সমবায় সমিতিতে ডেপুটেশন দিতে গিয়ে বেলাগাম খানাকুল বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। সমবায় সমিতির ম্যানেজার তথা ওই এলাকার তৃনমূল নেতাকে দেখতে পেলে বেঁধে রাখার নিদান বিধায়কের। শুধু তাই নয়, ‘বাপ বাপান্ত’ থেকে ‘তুই তোকারি’ বাদ গেল না কিছুই। অশালীন নয়, জনগণের এটাই আওয়াজ। দাবি বিধায়কের।

বুধবার চিংড়া সমবায় সমিতির ম্যানেজার প্রভুনাথ পোড়েলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সমবায় সমিতির অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। পাশাপাশি ডেপুটেশনও দেওয়া হয়। সেই কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল ও সমবায় সমিতির ম্যানেজারের উদ্দেশে তীব্র আক্রমণ করেন বিধায়ক। বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক সমবায় সমিতির ম্যানেজারের উদ্দেশ্যে তুই-তোকারি করে বলেন, “কৃষকদের টাকা লুট করে মদ মাংস চলছে। তোর বাপের টাকা নাকি রে..।” সেই সঙ্গে বিক্ষোভকারী ও এলাকার কৃষকদের উদ্দেশ্যে সমবায় সমিতির ম্যানেজারকে দেখতে পেলে বেঁধে রাখারও নিদান দিতে দেখা যায় তাঁকে। আর এনিয়ে ইতিমধ্যেই তীব্র আক্রমন শানিয়েছে তৃণমূল।

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগেই খানাকুলে বিজেপির একটি সভা থেকে তৃণমুলের বিরুদ্ধে কু-কথার রাজনীতি বন্ধ করার জন্য তীব্রভাবে সরব হয়েছিলেন তিনি। তাঁর কয়েকদিন পরেই খোদ খানাকুল বিধায়কের মুখে এ ধরনের উক্তিতে স্তম্ভিত এলাকার মানুষ। যদিও এ প্রসঙ্গে বিধায়ক বলেন, “এটা ভাষা সন্ত্রাস নয়। এটা জনগণের আওয়াজ। এখানকার মায়েরা-বোনেরা কাঁদছে। বারবার প্রশাসনের কাছে এরা গিয়েছে, ব্লকে গিয়েছে। বিডিওর কাছে বারবার অভিযোগ করেছে। কাল সারারাত জুড়ে বোমাবাজি হয়েছে।”

যদিও বিধায়কের আজকের উক্তির সমর্থন করে তারই পাশে দাঁড়াচ্ছে এলাকার বিজেপি কর্মীরাও। তাঁদের মতে, শুধু বিজেপি বললেই দোষ হবে কেন? শাসকদলের বড় বড় নেতারা যখন গালিগালাজ করে, হুমকি দেয় তখন তো ভাষা সন্ত্রাস হয় না? তাই বিধায়ক যা বলেছেন তা একেবারেই সঠিক।

খানাকুলের ২ নম্বর ব্লক সভাপতি রমেন প্রমাণিক বলেন, “খানাকুলের বিধায়ক আতাল-মাতাল দের নিয়ে ফিস্ট করছে। নাম দিয়েছে সমবায় ঘেরাও। আসলে উনি বুঝে গিয়েছেন ভাল করে যে দ্বিতীয়বার আর আসবে না। গোহারান হাববেন। সেই কারণে তৃণমূলকে গালমন্দ করছেন।”