হুগলি: যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের সামনে উল্টো করে পড়ে ছিল শরীরটা। পরনে কালো শার্ট ও সাদা জিন্স। গলায় পাশ দিয়ে রক্ত বেরিয়েছে, তা শুকিয়ে জমাট বেঁধেছে। সাতসকালেই ভয়ঙ্কর দৃশ্যের সাক্ষী ছিলেন বাসস্ট্যান্ড চত্বরে আসা পথ চলতি সাধারণ মানুষ। পাণ্ডুয়ার সিমলাগড় বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে এক ব্যক্তির গলার নলি কাটা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। মৃতের নাম শাহনাজ মণ্ডল (৫০)। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কালনার পাতিল পাড়া।
মঙ্গলবার সকাল, সবে বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের পাশেই উল্টো হয়ে পড়েছিল দেহটা। আপাত দৃষ্টিতে যাত্রীরা প্রথমে বিষয়টি বুঝতে পারেননি। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, হয়তো মদ্যপ অবস্থায় রাস্তায় পড়ে রয়েছেন। কিন্তু ব্য়ক্তির গলার পাশ থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত দেখে শিউরে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রক্ত শুকিয়ে ততক্ষণে জমাট বেঁধেছে।
খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। স্থানীয় বাসিন্দারাই দেহটি দেহে শনাক্ত করেন। জানা যাচ্ছে, শাহনাজের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কালনার পাতিল পাড়া এলাকায়। সিমলাগড় স্টেশন সংলগ্ন একটি ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন মাস দেড়েক আগে।
স্ত্রী জেসমিনা ও দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে থাকতেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে সেই ভাড়া বাড়ি থেকে এক কিমি দূরেই তাঁর গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করা হয়েছে প্রৌঢ়কে।
ইতিমধ্যেই পুলিশ সিমলাগড় এলাকা থেকে শাহনাজের ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে তদন্তকারীদের কাছে এখনও খুনের কারণ স্পষ্ট নয়। সম্পত্তিগত বিবাদ নাকি পুরনো কোনও শত্রুতা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
এর পিছনে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কোনও ইস্যু রয়েছে কিনা, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ মৃতের স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছে। সব কটি দিক খতিয়ে দেখছে পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ।