Hooghly Fraud Case: ‘মদনদা আমার পরিচিত…’, সোনার দোকানের মালিকের ১৭ লক্ষের ফ্ল্যাট ‘গায়েব’ প্রোমোটারের

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jun 14, 2022 | 1:09 PM

Hooghly Fraud Case: অভিযোগ, টাকা দেওয়ার পরও ফ্ল্যাট পাননি তিনি। তাঁর ফ্ল্যাট অন্য একজনকে দিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ফ্ল্যাটের দখল নিতে পারেননি তিনি।

Hooghly Fraud Case: মদনদা আমার পরিচিত..., সোনার দোকানের মালিকের ১৭ লক্ষের ফ্ল্যাট গায়েব প্রোমোটারের
মদন মিত্রের নাম করে প্রতারণার অভিযোগ

Follow Us

হুগলি: তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের সঙ্গে ছবি। সেই ছবি দেখিয়ে প্রভাব খাটিয়ে প্রতারণার অভিযোগ! কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। টাকা নিয়ে ফ্ল্যাট না দেওয়ায় অভিযোগে গ্রেফতার এক প্রোমোটার।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তরপাড়া দোলতলা এলাকায় এক বছর আগে একটি ফ্ল্যাট বুক করেছিলেন গণেশ কর্মকার নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি। গনেশ কর্মকারের সোনার দোকান রয়েছে উত্তরপাড়া পুরসভা ভবনের নীচে। গণেশের বয়ান অনুযায়ী, ঘোষাল এন্ড কোম্পানির কেদার ঘোষালকে চুক্তির পর সতেরো লক্ষ টাকা মিটিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

অভিযোগ, টাকা দেওয়ার পরও ফ্ল্যাট পাননি তিনি। তাঁর ফ্ল্যাট অন্য একজনকে দিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ফ্ল্যাটের দখল নিতে পারেননি তিনি। শুধু তাই নয়, এক বছর ধরে যখনই টাকা ফেরত চেয়েছেন, তখনই প্রোমোটার তাঁকে বলেছেন, মদন মিত্রর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক আছে, তৃণমূলের বড় নেতাদের সঙ্গেও সম্পর্ক আছে বলে ভয় দেখান।

কেদার এই সব ছবি দেখিয়ে হুমকি দিয়েছেন, কেউ কিছুই করতে পারবেন না। অন্তত গণেশ তাঁর বয়ানে এমনটাই জানিয়েছেন। প্রথমে ভয় পেলেও মামলা করার কথা বলেন গণেশ কর্মকার। এরপর বাধ্য হয়ে কয়েকটি চেক দেন প্রোমোটার। তবে প্রোমোটারের দেওয়া সেই চেকও বাউন্স হয়ে যায়। এর পর মাস খানেক আগে শ্রীরামপুর আদালতে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন গণেশ।

রবিবার অভিযুক্ত কেদার ঘোষালকে গ্রেফতার করে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। তাঁকে শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হয়। চারদিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছে আদালত।

এ প্রসঙ্গে বিধায়ক মদন মিত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “সে তো আমার জগন্নাথদেবের সঙ্গেও ছবি রয়েছে, তাতে কী! উত্তরপাড়ায় আমার বিরুদ্ধে একটা চক্রান্ত চলছে। আমাকে বদনাম করার জন্য। যাঁদের নাম উঠছে এক্ষেত্রে, তাঁদের কাউকেই আমি জানি না।”

Next Article