Hooghly Murder: এলাকা দখল নিয়ে দশমীর রাতে মারধরের অভিযোগ, সপ্তাহ ঘুরতে মৃত্যু যুবকের

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Oct 13, 2022 | 9:40 AM

Hooghly Murder: এক সপ্তাহের ব্যবধানে হাসপাতালেই শেষ হল সেই যুবকের লড়াই। বুধবার মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপাড়া ২১ নম্বর ওয়ার্ডের মাখলা এলাকায়।

Hooghly Murder: এলাকা দখল নিয়ে দশমীর রাতে মারধরের অভিযোগ, সপ্তাহ ঘুরতে মৃত্যু যুবকের
যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ

Follow Us

হুগলি: এলাকা দখল নিয়ে বচসা, গণ্ডগোল। তা থেকে হাতাহাতি। দশমীর রাতে এক যুবককে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ ওঠে এলাকারই কয়েকজনের বিরুদ্ধে। তারপর থেকে হাসপাতাসে চিকিৎসাধীন ছিলেন সেই যুবক। এক সপ্তাহের ব্যবধানে হাসপাতালেই শেষ হল সেই যুবকের লড়াই। বুধবার মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপাড়া ২১ নম্বর ওয়ার্ডের মাখলা এলাকায়। মৃতের নাম রহিতরঞ্জন ঝাঁ (২৮)। উত্তরপাড়া থানায় পিটিয়ে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িয়েছে তৃণমূল কাউন্সিলর ঘনিষ্ঠদের নাম। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। অভিযুক্তরা পলাতক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, উত্তরপাড়ার ২১ নম্বর ওয়ার্ড মাখলা এলাকায় দশমীর রাতে এলাকাগত বিবাদ থেকে মারামারি হয়। রহিত ঝাঁ নামে ওই যুবককে চার পাঁচ জন বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মিটে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবককে সেই রাতেই উত্তরপাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়। সেখান থেকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালের বেডে শুয়েও রহিত তাঁকে কারা মারধর করেছেন, তাঁদের নাম ঘনিষ্ঠদের জানিয়ে যান। সেই জবানবন্দি মোবাইলবন্দিও রয়েছে। তা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। রনি, সোমু, পার্থ-সহ বেশ কয়েকজনের নাম করেছিলেন রহিত। সঙ্গে টুবলাই নামে এক জনের নাম করেছিলেন, যিনি দাঁড়িয়ে তাঁকে মার খেতে দেখেছিলেন। সেই ভিডিয়ো পুলিশের হাতে পরিবারের পক্ষ থেকে তুলে দেওয়া হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় ওই যুবকের। শরীরের একাধিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যায় তাঁর। চিকিৎসায় সাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেন তিনি। বুধবার তাঁর মৃত্যু হয়। উত্তরপাড়া থানায় বুধবার সন্ধ্যাতেই অভিযোগ দায়ের হয়। উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।

তবে এই নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক বিরোধী তরজা।বিজেপি সিপিএম-এর অভিযোগ, যুবককে যারা মারধোর করেছেন, তাঁরা উত্তরপাড়ার ভাইস চেয়ারম্যান খোকন মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ।

উত্তরপাড়ার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব বলেন, “কেউ যদি অপরাধ করে থাকে, তার জন্য পুলিশ আছে। কে কার ঘনিষ্ঠ সেটা বিষয় নয়। দোষ করলে আইনত যা হবার হবে। বিজেপি বা সিপিএম-এর কোনও বক্তব্য থাকলেও পুলিশকে জানাতে পারে।”

চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি উত্তরপাড়া থানায় গিয়ে জানিয়েছেন, কেস হয়েছে,তদন্ত হবে। যারা যুক্ত আছে তাদের গ্রেফতার করা হবে। তবে ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা। খোকন মণ্ডলের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Next Article