Hooghly: ৪৫ টি আসনের মধ্যে ৩৩টি জয়, সিজা সমবায়ে বোর্ড গঠনের পথে TMC
Hooghly: ১৯৫৭ সালে এই সিজা কামালপুর অঞ্চলের কৃষকদের সুবিধার জন্য তৈরি হয়েছিল সিজা কামালপুর কৃষি সমবায় উন্নয়ন সমিতি লিমিটেড। এই সমবায়ের মাধ্যমে এই অঞ্চলের চাষিরা ঋণ নিয়ে চাষ করতেন।

হুগলি: সিজা কামালপুর কৃষি সমবায় উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের বোর্ড গঠনের ভোটে জয়লাভ করল তৃণমূল। ৪৫ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল সমর্থিত ৩৩ জন প্রার্থী জয়লাভ করে। বাকি ১২ টি আসনের মধ্যে ৬ টি আসনে সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীরা জয়লাভ করে ও বাকি ৬ টি আসনে বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা জয় লাভ করে।
১৯৫৭ সালে এই সিজা কামালপুর অঞ্চলের কৃষকদের সুবিধার জন্য তৈরি হয়েছিল সিজা কামালপুর কৃষি সমবায় উন্নয়ন সমিতি লিমিটেড। এই সমবায়ের মাধ্যমে এই অঞ্চলের চাষিরা ঋণ নিয়ে চাষ করতেন। সমবায় চালানোর জন্য তৈরি হয়েছিল বোর্ড। বিগত দিনে সমবায়ের সকল সদস্যরা নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত করতেন। তবে উল্লেখযোগ্য যখন যে দল ক্ষমতায় থাকতেন তখন বোর্ডের সদস্য সংখ্যা সেই দলেরই বেশি থাকত। তার মধ্যে প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারির পদ দুটি থাকতো তাদের দখলে।
এই ভাবেই এতদিন ধরে এই সমবায় চলছিল। তবে বাদ সাধে ৬৮ বছর পর। বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্যের সমস্ত সমবায় গুলিতে ভোট করানোর দাবি তোলে। সেইমতো সমস্ত সমবায়গুলিতে শুরু হয়েছে ভোট। বর্তমানে এই সমবায়ের বোর্ডের সদস্য সংখ্যা ৪৫ জন। তবে এই সমবায় নির্বাচনে সরাসরি কোন রাজনৈতিক দলের কোন প্রার্থী থাকে না থাকে রাজনৈতিক দলের সমর্থিত প্রার্থী। ৪৫ টি আসনের মধ্যে সমস্ত আসনেই তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। বাকি সিপিআইএম ও বিজেপির পক্ষ থেকে সমস্ত আসনে তারা নমিনেশন পত্র জমা দিতে পারেননি।
সিপিআইএম ২৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে, বিজেপি ৩৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। রবিবার সকাল থেকে খামারগাছি হাই স্কুলে শুরু হয় ভোট গ্রহণ পর্ব। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল বাহিনী।এরই মধ্যে বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের নেতারা ভিতরে ঢুকে কম্পেনিয়ন ভোট করিয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূলের। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, “মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়েছে। তার এটাই প্রতিফলন হওয়া উচিত ছিল।”

