হুগলি: জুতো হাতে তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলর ‘মারমুখী’। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সেই ছবি। দুর্গা পুজোর মিটিংয়ে দু’পক্ষের গন্ডোগোল। তাতেই তৃণমূলের কাউন্সিলের এই রূপ ধরা পড়ে। একটি ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রীতা দত্ত হাতে জুতোকে তেড়ে নিয়ে যেতে দেখা যায়। ঘটনাটি হুগলির চুঁচুড়ার ৫ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়।
জানা গিয়েছে, হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার ৫ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সংযোগস্থল ওলাইচণ্ডীতলা এলাকায় দুর্গা পুজোর মিটিংয়ে ধুন্ধুমার হয়। চুঁচুড়ার ওলাইচণ্ডী মন্দিরের পাশে রয়েছে অজয় সঙ্ঘ ক্লাব। ক্লাবের পাশেই ওলাইচণ্ডীর মন্দির এবং মাঠ। সেই মাঠে হয় দুর্গা পুজো। ওলাইচণ্ডীর মন্দিরে নিত্যদিন পুজোর পাশাপাশি দোলের পরের শনিবার বার্ষিক পুজো এবং মেলা বসে।
ট্রাস্টি বোর্ড মন্দিরটি পরিচালনা করে। দুর্গাপুজোর আয়োজন করে অন্য কমিটি। ক্লাব দুর্গা পুজো করে। আবার ক্লাবের সদস্যরাই ট্রাস্টি ও পুজো কমিটিতে রয়েছেন।ওলাইচণ্ডী মন্দির ট্রাস্টি থেকে ৫০ হাজার টাকা দুর্গাপুজো কমিটিকে দেয় প্রতিমা কেনার জন্য। সেই টাকা কেন দেওয়া হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কাউন্সিলর রীতার স্বামী স্বপন দত্ত।
কাউন্সিলরের দাবি, “মন্দিরের উন্নতিকল্পে সাধারণ মানুষের দানের টাকা দুর্গাপুজো কমিটিকে কেন দেওয়া হবে, আমার স্বামী ও ছেলে এই প্রশ্ন তুলতেই মারতে উদ্যত হয় কমিটির লোকজন। তাই আমি সেখানে গিয়ে জুতো দেখিয়েছি। একই লোকজন দুর্গা পুজো ও ওলাইচণ্ডী পুজোয় আছে। তারা কোন হিসাব দেয় না।”
তিনি জানান, পাড়ার লোককেও মন্দিরে মানসিক পুজো দিতে গেলে দশ হাজার টাকা দিতে হয়। ভোগ দেওয়া হয় না, অথচ টাকা নিয়ে বিক্রি হয়। এসবের প্রতিবাদ করায় ক্লাবের সদস্যরা কাউন্সিলরের স্বামীর উপর চড়াও হয়। আবার থানায় যায়।
পুজো কমিটির সদস্যদের দাবি, দুর্গাপুজো কমিটির ছেলেরাই মন্দিরের সব কাজে ছুটে যান। মেলায় অনেকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন।একই ব্যক্তি মন্দির ও পুজো কমিটির সদস্য তবে কমিটি আলাদা। কাউন্সিলরের স্বামী স্বপন দত্ত পুজো কমিটিতে ঢুকতে চান, আর তাতেই মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)