Hooghly: ‘টুপি পরে দাড়ি রেখে যা করা যায়, তা টুপি ছাড়া করা যায় না…’, পীরজাদা তিহাড়ে, কী বললেন ত্বহা?
Hooghly: যদিও ত্বহার দাবি, ওই ব্যক্তি ফুরফুরার কোনও পীরজাদা নন, ওই ব্যক্তিকে পীরজাদা বানিয়েছেন স্নেহাশিস চক্রবর্তী। যদিও এবিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি স্নেহাশিস। ত্বহা সিদ্দিকীর দাবি, ফুরফুরায় কিছু ব্যক্তি নিজেদের পীরজাদা বলে পরিচয় দেন।

হুগলি: প্রতারণার অভিযোগে দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার তৃণমূল সাধরণ সম্পাদক কাসেম সিদ্দিকী ঘনিষ্ঠ এক পীরজাদা। ফুরফুরা শরীফে মমতার ইফতারেও পীরজাদা হিসাবে দেখা গিয়েছিল সৈয়দ নাজিমুদ্দিন হুসাইনকে।
যদিও ত্বহার দাবি, ওই ব্যক্তি ফুরফুরার কোনও পীরজাদা নন, ওই ব্যক্তিকে পীরজাদা বানিয়েছেন স্নেহাশিস চক্রবর্তী। যদিও এবিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি স্নেহাশিস। ত্বহা সিদ্দিকীর দাবি, ফুরফুরায় কিছু ব্যক্তি নিজেদের পীরজাদা বলে পরিচয় দেন। যে ব্যক্তি তিহার জেলে বন্দি রয়েছেন, তাঁর কাছ থেকে সরে ছয় লক্ষ টাকা পাবেন বলেও দাবি করেন ত্বহা সিদ্দিকী। শুধু তিনি নন অনেকেই তাঁর কাছ থেকে টাকা পাবে, যার পরিমাণ দু চার কোটি। ত্বহার কথায়, “টুপি মাথায় দিয়ে আর বড় দাড়ি রেখে যা চিটিংবাজি করা যাবে, বিনা টুপি ও দাড়িতে অত চিটিংবাজি করা যায় না।”
উল্লেখ্য, ২১ শে জুন ধর্মীয় পরিচয়ে আস্থা জাগিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে দিল্লি পুলিশের জালে ধরা পরেন ফুরফুরা শরীফের এক পীরজাদা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেকে ধর্মীয় গুরু বা ফুরফুরার পীরজাদা হিসেবে পরিচয় দিয়ে বহু মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করেছেন।
দিল্লি পুলিশের সরিতা বিহার থানায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় ফুরফুরার বেলপারার বাসিন্দা সৈয়দ নাজিমুদ্দিন হুসেইনকে। ২দিন পুলিশ হেফাজতের পর তিহার জেলে বন্দি ওই ব্যক্তি। অভিযোগ, দিল্লির এক ব্যক্তির থেকে প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন ওই পীরজাদা।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দীর্ঘদিন ধরে বাংলা ও আশেপাশের রাজ্যগুলোতে এই ধরণের প্রতারণামূলক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ভুক্তভোগী আবরার সিদ্দিকী নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নামে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে বারবার নোটিস পাঠিয়ে ডাকা হলেও তিনি হাজিরা দেননি। সম্প্রতি আগাম জামিন পেতে তিনি দিল্লি গিয়ে আদালতে আবেদন করেন। কিন্তু আদালত জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। গ্রেফতার করা হয় সৈয়দ নাজিমুদ্দিন হুসাইনকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে প্রতারণার প্রমাণ মেলার সম্ভাবনা রয়েছে। তার ব্যাঙ্ক লেনদেনও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনার তদন্ত চলার পাশাপাশি, আরও ভুক্তভোগীদের সামনে এসে অভিযোগ জানানোর আহ্বান জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।

