Piyali Basak: স্বপ্ন তো পূরণ হল, কিন্তু বাস্তব! শংসাপত্র পেতে এখনও তিন লক্ষ প্রয়োজন পিয়ালির

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jun 25, 2022 | 8:00 AM

Piyali Basak: টাকার অভাবের কথা বারবারই জানিয়েছেন পিয়ালি। ইতিমধ্যে তাঁকে সাহায্যও করেছেন অনেকে।

Piyali Basak: স্বপ্ন তো পূরণ হল, কিন্তু বাস্তব! শংসাপত্র পেতে এখনও তিন লক্ষ প্রয়োজন পিয়ালির
অক্সিজেন ছাড়াই এভারেস্ট জয় করেছেন পিয়ালি

Follow Us

হুগলি: শুধু বাঙালি হিসেবে নয়, পিয়ালি গর্বিত করেছে গোটা দেশকে। বিশ্বের মধ্যে পিয়ালিই দ্বিতীয় যিনি অক্সিজেন ছাড়াই প্রায় গোটা রাস্তা পার করে এভারেস্টে পৌঁছেছেন। শুধু এভারেস্ট নয়, ৭২ ঘণ্টার ব্যবধানে লোৎসেও জয় করেন পিয়ালি। একের পর এক স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। কিন্তু বাস্তবটা খুবই কঠিন। এভারেস্ট জয়ের শংসাপত্র পেতেই কালঘাম ছুটছে চন্দননগরের পর্বতারোহীর। অভাবের কথা সামনে আসার পর সাহায্য করেছেন অনেকেই। কিন্তু এখনও অনেক টাকা জোগাড় করতে হবে তাঁকে। শংসাপত্র পেতে তাঁর প্রয়োজন আরও তিন লক্ষ টাকা।

ছয় লক্ষ টাকা বাকি থাকার কারণে এভারেস্ট জয়ের শংসাপত্র হাতে পাননি চন্দননগরের পর্বতারোহী পিয়ালি বসাক। আগের পর্বতারোহণের ২৫ লক্ষ টাকাও ঋণও রয়েছে,আবারও পাহাড় চূড়ায় উঠতে চান পিয়ালি। আট হাজারি যত শৃঙ্গ আছে, সব জয় করতে চান তিনি। মানাসুলু, ধৌলাগিরির পর একসঙ্গে এভারেস্ট ও লোৎসে জয় করে রেকর্ড করেছেন চন্দননগর কানাইলাল প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা পিয়ালী।

শুক্রবার চন্দননগর রবীন্দ্র ভবনে জ্যোতিরিন্দ্র সভাকক্ষে এভারেস্ট জয়ীকে সম্বর্ধনা দেওয়া হল চন্দননগর বিধানসভা উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে। চন্দননগরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী, ভদ্রেশ্বরের চেয়ারম্যান প্রলয় চক্রবর্তীদের উপস্থিতিতে হয় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান। উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে তিন লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হয় পিয়ালির হাতে। পিয়ালীকে চেক প্রদানের পর মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলেন, ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক কিছুই দেখেছি। অনেকে মিছিল করেছে। তারা কতটা কী করেছে আমি জানিনা, তবে আমি বলব,রাজ্য সরকারের একটা প্যারামিটার থাকে। পিয়ালি যদি এভারেস্ট অভিযানের আগে সরকারি সেই প্যারামিটার মেনে চলতেন, তাহলে রাজ্য সরকার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিত। রাজ্য সরকার সব সময়ই এই ধরনের খেলোয়াড় বা শিল্পীদের পাশে ছিল, আগামিদিনেও থাকবে।

ইন্দ্রনীলের দাবি, কোন দুর্ঘটনা ঘটলে সেটার দায় রাজ্য সরকারের ওপর চলে আসতে পারে, তাই রাজ্য সরকারের ক্রীড়া এবং যুব কল্যাণ দফতরের যে প্যারামিটার রয়েছে, সেটা মেনে চলার কথা বলেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারি দফতর থেকে ফোনও করা হয়েছিল তাঁকে।

পিয়ালি জানান, রাজ্য সরকারের দফতরে যোগাযোগ করেছিলেন তিনি। কিন্তু দীর্ঘসূত্রিতার জন্য সম্ভব হয়নি। অভিযানের সময় হয়ে যাওয়ায় তাঁকে নেপালে চলে যেতে হয়েছিল। এখনও ছয় লক্ষ টাকা বাকি রয়েছে এভারেস্ট অভিযানের। সেই টাকা না মেটালে শংসাপত্র পাওয়া যাবে না।

Next Article