আরামবাগ: ভোট আসে ভোট যায়। প্রতিশ্রুতির বন্যা বয়ে যায়। কিন্তু রুগ্ন হয়ে যাওয়া সেতুর মেরামতির কাজ আর হয় না। সংস্কারে অভাবে দীর্ঘদিন পড়ে থাকার জেরে এক সময় ভেঙে পড়ে সেতুর অংশ। তখন ভোগান্তির শিকার হন আশপাশের এলাকাবাসী। ঠিক যেমন হয়েছে হুগলি জেলার আরামবাগে। সেখানকার আরান্ডি এবং মাধবপুরের মধ্যবর্তী জয়সিংহচকের সেতুর স্তম্ভগুলির অবস্থা অনেকদিন ধরেই জরাজীর্ণ। সম্প্রতি একটি স্তম্ভ বসে গিয়েছ। এর জেরে ওই সেতু দিয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে যান চলাচল। এর যেতে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা।
আরামবাগের আরোররা খালের উপর রয়েছে জয়সিংহচক সেতু। এই সেতুতে নেই কোনও গার্ডওয়াল। এর জন্য অনেক আগে থেকেই সেতুটিকে বিপজ্জনক চিহ্নিত করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে সেতুর স্তম্ভগুলির অবস্থাও জারজীর্ণ। কিন্তু তা সত্বেও ওই এলাকার মানুষকে যাতায়াত করতে হত ওই সেতু দিয়েই। এর মধ্যে রবিবার সেতুর মাঝের একটি স্তম্ভ বসে গিয়েছে। ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় সেখান গিয়ে যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। এর জেরে কেউ যেমন যাতায়াত করতে পারছেন না সেখান দিয়ে। আবার ফসল তোলার পর তা আনতেও পারছেন না গ্রামবাসীরা। আরান্ডি এবং মাধবপুরের মধ্যে যোগাযোগও সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
এ বিষয়ে সমীর কোলে নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেছেন, “বছর পাঁচ ধরেই এই অবস্থায় পড়ে রয়েছে সেতুটি। আমি ব্রিজ দিয়ে যাতায়াক করি ব্যবসার কারণে। যেতে ভয় লাগে। কিন্তু না গিয়েও উপায় নেই। আগে অনেকে পড়েও গিয়েছে সেতু থেকে।” দীনদুখিয়া মাঝি নামের এক মহিলা বলেছেন, ”এই সেতু তাড়াতাড়ি ঠিক করতে হবে। আমরা সেতু দিয়ে যায়। ওদিকের লোক আসে সেতু দিয়ে। মাঠের ফসল তুলতে হবে। যাতায়াত না করে গেলে ফসল তুলতে যাব, আনব কীভাবে। আগে থেকেই ভাঙা ছিল। এখন আরও ভেঙে গেল। গ্রামের নেতা-নেত্রীরা দেখে না। আমরা কী করব। কত বার গরু পড়ে মরেছে। মোষের গাড়ি পড়েছে। অনেকে মারা গিয়েছে।” এ নিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা হেমন্ত বাগ, “এই সমস্যা আজকের নয়। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এই অবস্থা হয়েছে। আমরা অনেক বার মেরামতের জন্য বলেছিলাম। কিন্তু প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।” এ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।