Kalyan Banerjee: ‘আমি কোর্টে কাজ করেছি, বিয়ে করেছি ও তো কিছু পারেনি…৯ বছর লাগছে থিসিস সাবমিট করতে?’, থামছেই না কল্যাণ-বাণ

Sanath Majhi | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

May 05, 2024 | 10:51 AM

Kalyan Banerjee: শনিবার ডানকুনির চাকুন্দিতে একটি জনসভা থেকে দুই প্রার্থীকে এভাবেই খোঁচা দেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বাম প্রার্থীকে কটাক্ষ করে কল্যাণ বলেন, "আমিও পড়াশোনা করেছি। হাইকোর্টে কাজ করছি। বিয়ে করে সংসার করেছি। বামেদের প্রার্থী নিজেকে উচ্চশিক্ষিত বলছেন। সে তো এখনো কিছুই করতে পারেনি।"

Kalyan Banerjee: আমি কোর্টে কাজ করেছি, বিয়ে করেছি ও তো কিছু পারেনি...৯ বছর লাগছে থিসিস সাবমিট করতে?, থামছেই না কল্যাণ-বাণ
দীপ্সিতা ধর ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

ডানকুনি: বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলছে শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ওই একই কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধরের মধ্যে। এবার আর বাম প্রার্থীকে একা নয়, বিজেপি প্রার্থী কবীর শঙ্কর বোসকেও একযোগে নিশানা কল্যাণের। বিজেপি প্রার্থীর উদ্দেশ্যে বললেন, “প্রাক্তন শ্বশুরের পরিচয়ে রাজনীতি করছে।” আবার দীপ্সিতাকে বললেন, “একটা থিসিস সাবমিট করতে নয় বছর সময় লাগে।”

শনিবার ডানকুনির চাকুন্দিতে একটি জনসভা থেকে দুই প্রার্থীকে এভাবেই খোঁচা দেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বাম প্রার্থীকে কটাক্ষ করে কল্যাণ বলেন, “পদ্মনিধি ধর কী উন্নয়ন করেছিলেন ডোমজুড়ে। কিছু করেননি। চারিদিকে খুন সন্ত্রাস। সেই সিপিএম আবার আসবে? দীপ্সিতা ধর নাকি এত বড় পণ্ডিত যে ন’বছর লাগছে থিসিস সাবমিট করতে? আমিও পড়াশোনা করেছি। হাইকোর্টে কাজ করছি। বিয়ে করে সংসার করেছি। বামেদের প্রার্থী নিজেকে উচ্চশিক্ষিত বলছেন। সে তো এখনো কিছুই করতে পারেনি।”

অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থী কবীর শংকর বসুকেও খোঁচা দিতে ছাড়েননি কল্যাণ। তিনি বলেন, “শ্রীরামপুরের রাজনীতিতে বিজেপি প্রার্থীর কী ভূমিকা আছে ? কেন তিনি বার বার শ্রীরামপুর থেকে প্রার্থী হন ? কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে শ্রীরামপুর চিনেছিল। প্রাক্তন শশুরের পরিচয়ে তিনি টিকিট পাচ্ছেন। ওর পরিচয় কেউ জানে না।”

এর আগে কল্যাণ বলেছিলেন, “দীপ্সিতা প্রথম থেকে খুব নোংরা নোংরা কথা বার্তা বলছে। ও ভীষণ ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করছে। হতে পারে, ও জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, কিন্তু মানসিকতা খুবই খারাপ।” আবার কবীর শঙ্কর বসুকে আক্রমণ করতে গিয়ে বলেছিলেন, “তাকে আমি জ্যান্ত রাখব না। আমার পোলিং এজেন্টের গায়ে যদি হাত পরে তাকে আমি ছেড়ে কথা বলব না।” ফলে ভোটের আগে কিছুতেই দমানো যাচ্ছে না শ্রীরামপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীকে বলাই যায়।

Next Article