হুগলি: বিজেপি (Bengal BJP) করার ‘অপরাধে’ এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনকি বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর শ্লীলতাহানি (Molestation) করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। ছেলেকে মারের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি কর্মীর বৃদ্ধা মাও। তাঁরা সকলেই বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগের তির শাসকদলের দিকে। যদিও শাসকদল অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা দাবি তুলেছে,বিষয়টি বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের জের। হুগলির খানাকুলের (Khanakul) ঘটনায় চড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। দোষীদের শাস্তির দাবিতে এলাকার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। ঘটনায় ইতিমধ্যেই শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়। যদিও এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
খানাকুলে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এই অবরোধের জেরে পুরোপুরি ব্যস্ততম রুট অবরুদ্ধ হয়ে যায়। অভিযোগ,যিনি আক্রান্ত তিনি এলাকার বিজেপির এক সক্রিয় কর্মী বলেই পরিচিত। এলাকায় সংগঠনের দায়িত্ব রয়েছে তাঁর ওপরেই। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে বেশ কয়েকজন যুবক তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়। তাঁকে বাড়ি থেকে টেনে বার করে এনে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয় ওই ব্যক্তির স্ত্রী ও মাকেও।
বিজেপি কর্মীর দাবি, সংগঠন করার ‘অপরাধে’ই এলাকার শাসক দলের লোকজন ব্যাপক মারধর করেছেন। বিজেপি কর্মীর স্ত্রী বলেন, “বাড়িতে ঢুকে আমার স্বামীর ওপর চড়াও হয়। আমার শাশুড়ি, শ্বশুরকেও মারধর করা হয়। আমি প্রতিবাদ করতে যাই। আমারও শ্লীলতাহানি করা হয়। আমার জামাকাপড় ছিঁড়ে দেয়। ”
বিজেপি নেতার বক্তব্য, “আমাদের দলীয় কার্যকর্তাকে বাড়িতে ঢুকে তৃণমূলের যুব সভাপতি নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। মাকে ফেলে মারধর করা হয়েছে। কাঠারি দিয়ে কোপ মেরেছে। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়েছে।”
যদিও ঘটনার কথা পুরোপুরি অস্বীকার করে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল বলে পালটা দায় চাপিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের লোকজন। স্থানীয় তৃণমূল নেতা বলেন, “বিজেপির ছেলেরা সবসময় এলাকা উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা করছে। সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ। অধিকাংশই মদ খাওয়া মাতাল ছেলে। নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা করেছে। “