হুগলি: আগে পাকা রাস্তা হোক, তারপর ভোটের কথা ভাবা যাবে। বেহাল রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে এখন একই সুর হুগলির দাদপুরের একটা বড় অংশের মানুষের মুখে। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভোটের আগে শুধুই প্রতিশ্রুতি, ভোট মিটলে আর দেখা পাওয়া যায় না নেতাদের। হুগলির (Hooghly) মাকালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঙ্গালপাড়ার মাটির রাস্তাটি দীর্ঘ পাঁচ সাত বছর ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। ভোট আসে ভোট যায়, কিন্তু অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয় না। প্রশাসনের কাজে রাস্তা সারাই, পাকা রাস্তার দাবি জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। শুধু মিলেছে প্রতিশ্রুতি, হচ্ছে হবে বলে দিন কাটিয়ে দিচ্ছেন প্রশাসনের কর্তারা। এমনটাই বলছেন এলাকার লোকজন।
এলাকার বাসিন্দারা আরও বলছেন, প্রতিবার ভোট এলেই রাস্তার মাপজোক শুরু হয়। শোনা যায় রাস্তা নাকি হবে। কিন্তু, হয় না কোনওদিনই। রাস্তার এমনই বেহাল দশা যে বর্তমানে ছোট থেকে বড় কোনও গাড়িই রাস্তায় ঢুকতে পারে না। বৃষ্টি হলে তো আর কথাই নেই। বর্ষকালে রাস্তা যেন হয়ে ওঠে আস্ত নরক। এদিকে গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রাস্তা তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে রাস্তার পাশেই একটি বোর্ডও লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল কিছুদিন আগে। সেখানে খরচের হিসাবও ছিল। যা দেখে চোখ কপালে তুলেছিলেন অনেকেই। রাস্তাই যেখানে হয়নি সেখানে খরচ হল কেমন করে? কারা করল? উত্তর নেই কারও কাছেই।
ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন এলাকার বাসিন্দা পূজা মজুমদার। তিনি বলছেন, “রাস্তাটা অনেকদিন থেকেই খারাপ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বাচ্চারা স্কুলে পর্যন্ত যেতে পারে না। গাড়িও ঢুকতে পারে না। অনেকবার রাস্তা মাপা হয়েছে। ভোট এলেই হয়। বলা হয় ভোট হয়ে গেলেই রাস্তা হবে। কিন্তু, কোনওদিনই হয় না। কেন হচ্ছে না কিছুই জানি না। বোর্ডও লাগিয়ে দিয়েছে রাস্তা তৈরির। খরচের হিসাবও দিয়েছে। অথচ রাস্তাই হয়নি। তাহলে কী করে এই খরচ হল তা আমরা জানতে চাই।” তবে শুধু দাদাপুরের এই এলাকা নয়। অভিযোগ হুগলির ধনেখালি, বেলমুড়ি সহ আশপাশের একাধিক জায়গায় একই ছবি। বিডিও থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত নানা জায়গায় একাধিকবার দরবার করেও বহু মাটির রাস্তা আজও পাকা করা যায়নি। অভিযোগ, শুধুই মিলেছে প্রতিশ্রুতি। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। যা নিয়ে লোকসভা ভোটের মুখে ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে।