চন্দননগর: আলোয় ভাসছে চন্দননগর। চলছে জগদ্ধাত্রীর আরাধনা। দিকে দিকে মানুষের ঢেউ। কিন্তু, আচমকা নিভল আলো। লোডশেডিং? শোনা গেল লোডশেডিংয় নয়, ক্লাবের লোকজনই নিভিয়ে দিয়েছে আলো। মোমবাতি নিয়ে চলল প্রতিমা দর্শন। সপ্তমীর সন্ধ্যায় এভাবেই আলো নিভিয়ে প্রতিবাদ জানাল মধ্যাঞ্চল সার্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো সমিতি। কিন্তু কেন?
চন্দননগর স্টেশন রোডের উপর বড় বড় আলোর তোরণ ও পাশের একটি পুকুরে লেজার শো এর আয়োজন করে পুজোর উদ্যোক্তারা। সেই আলোই মূলত নিভিয়ে দেওয়া হয়েছিল। প্রায় তিন ঘণ্টারও বেশি বন্ধ ছিল আলো। আলো যে বন্ধ করা হয়েছে তা আবার একেবারে মাইকে প্রচারে করে জানায় পুজো কমিটির লোকজন। এদিকে এলাকার অন্যান্য পুজোর পাশাপাশি মধ্যাঞ্চল সার্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো সমিতির পুজো দেখতেও নামে মানুষের ঢল। এবারও সেই একই ছবি। কিন্তু, আচমকা সব অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান দর্শনার্থীরা। আর ঠিক তারপরেই শুরু হয়ে যায় মাইকে প্রচার।
সব খুলেই বললেন কমিটির কোষাধ্যক্ষ সোমনাথ নন্দী। তিনি বলেন, বিগত তিন বছর ধরে আমরা এই লেজার্সের আয়োজন করে আসছি। প্রশাসনের তরফ থেকে এর আগেও এর ইন্সপেকশন করে যাওয়া হয়েছিল। পঞ্চমীর দিন লোকজন এসেছিল। কিন্তু, এখন আচমকা চন্দননগর থানা বলে লেজার শো বন্ধ রাখতে হবে। তাঁর দাবি, প্রতিমার পাশাপাশি তাঁদের লেজার শো দেখতে বহু মানুষ ভিড় করেন। আজ পর্যন্ত এই শোয়ের জন্য কোনও বিশৃঙ্খলা ঘটেনি। খানিক ক্ষোভ প্রকাশ করেই সোমনাথবাবু বলেন, “প্রশাসনের এই তুঘলকি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই আমাদের এই প্রতিবাদ। আমরা যদি লেজার শো না চালাতে পারি, তাহলে রাস্তার কোনও আলোই আমরা জ্বালাব না। শুধুমাত্র প্রতিমার সামনে একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে আমরা এই প্রতিবাদে সামিল হয়েছি।”