কলকাতা: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের থেকে কোনও টাকা পয়সা পাননি, তাই তাঁর মাথা থেকে হাত সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সাংসদ সৌগত রায়ের মন্তব্য প্রসঙ্গে এমনটাই দাবি করলেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের থেকে টাকা পেয়েছিলেন বলেই তাঁর সম্পর্কে খারাপ কথা বলতে পারছেন না লকেট। বুধবার সৌগত রায় বুঝিয়ে দিয়েছেন, কেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নিলেও অনুব্রত বা মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বুধবার হুগলি জেলার বিজেপি কার্যালয়ে ভাইফোঁটার অনুষ্ঠানে উপস্থি হয়ে লকেট বলেন, ‘অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে বলেছেন, ও খুব ভাল, ওর মাথায় অক্সিজেন যায় না। বীরভূম থেকে টাকা কালীঘাটে পৌঁছেছে, দমদমে পৌঁছেছে। সেই কারণেই তাঁর সম্পর্কে কোন খারাপ কথা বলতে পারছেন না।’ উল্লেখ্য, সৌগত দাবি করেছেন, পার্থর কাছ থেকে নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে, তাই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মানিক বা অনুব্রতর ক্ষেত্রে এমন কিছু হয়নি, সবটাই প্রমাণ সাপেক্ষ।
অন্যদিকে, শিক্ষা দফতরের বিরুদ্ধেও এদিন মুখ খুলেছেন লকেট। তাঁর দাবি, জেলের ভিতর ঢুকে গিয়েছে শিক্ষা। রাজ্যের শিক্ষার পরিস্থিতি নিয়ে যখন চর্চা তুঙ্গে, তারই মধ্যে এমন মন্তব্য করলেন বিজেপি সাংসদ। তাঁর দাবি, সরকারি স্কুলের বেহাল দশা, আর নেতা-মন্ত্রীদের ছেলেরা বেসরকারি স্কুলে পড়াশোনা করছে, শিক্ষার আলো পাচ্ছে। সাধারণ মানুষের শিক্ষার অবস্থা যে খুব একটা ভাল নয়, সে কথাই মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
বুধবার হুগলি জেলার বিজেপি কার্যালয়ে ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার, জেলা সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ সহ বিজেপি কর্মীদের ফোঁটা দেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষা দফতর সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
এদিনই কালনার একটি সভায় খোদ তৃণমূলের পুরপ্রধান শিক্ষা ব্যবস্থা প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, বেসরকারি স্কুলে পড়াশোন করলে যে স্মার্চনেস আসে, তা দেখলে সরকারি স্কুলগুলি লজ্জা পেয়ে যাবে। সেই প্রসঙ্গে টেনে লকেট বলেন, যাঁরা গরীব মানুষ, তাঁদের সরকারি স্কুলে পড়ানো ছাড়া গতি নেই। সেই কারনেই কেউ সত্যি কথা বলছে, কেউ মিথ্যে কথা বলছে। তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষার কাঠামো ভেঙে পড়েছে। লকেট আরও বলেন, ‘ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর,শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সময় বাংলার শিক্ষা বিশ্বকে আলো দেখিয়েছিল, সেই শিক্ষা আজ জেলের ভিতর দিন কাটাচ্ছে।’