হুগলি : রাজ্যের শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে পদ্ম শিবির (BJP in West Bengal)। জেলায় জেলায় কর্মসূচি চলছে। কয়েকদিন আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গুর থেকে ঘুরে গিয়েছেন। নতুন করে শিল্পের স্বপ্ন ফেরি করে গিয়েছেন। আর আজ (সোমবার) রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে হুগলিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। হুগলিতে জেলাশাসকের অফিস অভিযান রয়েছে বিজেপির। ১০০ দিনের কাজ থেকে শুরু করে এসএসসি দুর্নীতি, মিড ডে মিলে অনিয়ম সহ মোট সাত দফা দাবি। কিন্তু বিজেপির এই কর্মসূচিতে দেখা নেই এলাকার বিজেপি সাংসদ তথা বঙ্গ বিজেপির অন্যতম প্রধান মহিলা মুখ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের (Locket Chatterjee)।
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অতীতে বার বার ঝাঁঝালো আক্রমণ শানাতে দেখা গিয়েছে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। কিন্তু আজ যখন বিজেপির এত বড় কর্মসূচি রয়েছে হুগলিতে, তখন এলাকার সাংসদই নেই সেখানে। কোথায় লকেট চট্টোপাধ্যায়? বিজেপির রাজ্য কমিটির দেওয়া অন্য একটি কর্মসূচিতে আজ সাংসদ রয়েছেন আসানসোল। কেন এমন দিনে বিক্ষোভ কর্মসূচি করা হচ্ছে, যেদিন সাংসদ এলাকায় উপস্থিত নেই? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজ্য রাজনীতির অন্দর মহলে।
রাজ্য রাজনীতির সাম্প্রতিক অতীত ঘাঁটলে দেখা যাবে, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের দলীয় বৈঠকে নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। নাম না করে খোঁচা দিয়েছিলেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীকে। অভিযোগ তুলেছিলেন, কাজের লোককে বাদ দিয়ে কাছের লোককে সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। পুরভোটের ভরাডুবি নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। রাজ্য রাজনীতির কারবারিদের একাংশের ধারণা, এই নিয়ে অমিতাভ ও সুকান্তের সঙ্গে লকেটের একটি বিরোধের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। আর তারপর সোমবার হুগলিতে বিজেপির কর্মসূচিতে যখন সুকান্ত মজুমদার রাজ্যের উপর চাপ বাড়াচ্ছেন, তখন সেখানে দেখা নেই লকেটের। প্রশ্ন উঠছে, এর নেপথ্যে কি অতীতের সেই বিরোধ?
যদিও লকেট চট্টোপাধ্যায়কে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁর সংক্ষিপ্ত জবাব, আসানসোলে তাঁর কর্মসূচি পূর্ব নির্ধারিত। সেই কারণেই হুগলির কর্মসূচিতে থাকতে পারছেন না তিনি। পাশাপাশি হুগলির কর্মসূচিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও যে নেই, সেই কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন লকেট।