রিষড়া: রিষড়ার অশান্তির পর একেবারে তেড়েফুড়ে ময়দানে নামতে দেখা গেল হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। মঙ্গলবারের পর বুধবার। চন্দননগর পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে যান তিনি। যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন। বেশ কিছুটা চলে তর্কবিতর্ক। সাংবাদিকদের সামনে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। অভিযোগ করেন, রাজ্যে আইন ব্যবস্থা এক পেশে। একপক্ষের লোকদেরই গ্রেফতার করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার ট্রেনে রিষড়ায় যান লকেট। স্টেশনেই পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তিনি। তর্কবিতর্ক হয়, ১৪৪ ধারা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন তিনি। লকেট প্রশ্ন করেন, যদি স্টেশনে ১৪৪ ধারা জারি হয়ে থাকে, তাহলে এত মানুষ কীভাবে ট্রেনে যাতায়াত করছেন? মঙ্গলবার রাজনৈতিক টানাপোড়েনে মধ্যে দিয়েই দিনটা যায়। বুধবার ছিল তাঁর স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচি।
লকেট চট্টোপাধ্যায় হুগলির সাংসদ। রিষড়া চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্ভুক্ত। সেটি পড়ে শ্রীরামপুর লোকসভার মধ্যে। তবুও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অশান্তিতে গ্রেফতারিতে পক্ষাপাতিত্বের অভিযোগ তুলে স্মারকলিপি জমা দিতে যান লকেট। বিজেপি কর্মীদের নিয়ে তিনি পুলিশ কমিশনারেটে স্মারকলিপি জমা দিতে যান। কিন্তু গেটের বাইরেই পুলিশ লকেটকে আটকে দেয়। প্রথমে আটকে দেওয়া হলেও, কমিশনার অমিত পি জাভালগির সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয় তাঁকে। লকেট বলেন, ” যারা মিছিলে ইট ছুড়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা এখনও মুখ্যমন্ত্রী নেননি। তদন্ত কেন এক পেশে?”