হাওড়া: বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জেলা সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। প্রথমে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া পরিদর্শন করেন তিনি। তারপর যান হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ঠিক তখনই তাঁর বাড়ি থেকে ফোন আসে তাঁর কাছে। ফোন করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়ি ও এলাকার পরিস্থিতির কথা ‘দিদি’কে জানান তিনি। আর শুনেই মমতা কী বললেন, তা জানালেন দুর্গতদের মাঝে দাঁড়িয়েই।
সংবাদিকদের সামনে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “আমার কাছে এখুনি ফোন এল, আমরা যেখানে থাকি, ওতো উঁচু করে বাঁধিয়ে দিয়েছি গঙ্গা, তাও লাস্ট সিঁড়ি পর্যন্ত জল চলে এসেছে। আমি ফোন করে বললাম লতাকে, লতা আমার সঙ্গেই থাকে, ওঁ অভিষেকের মা… বললাম শিগগিরি পাশে সরে যা।”
কালীঘাটের বাড়ির সামনে পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “সমস্ত গলিটলি সব জলে ডুবে গিয়েছে। এতো জল। এটা এখন চলবে দু-একটা দিন। কালকে পূর্ণিমার কোটালও গিয়েছে। তারপর যদি রোদ থাকবে, তিন চার দিন সময় লাগবে।”
বাংলার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বুধবার থেকেই জেলা সফরে বেরিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতির জন্য় DVC-কে দায়ী করেছেন মমতা। হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “সমস্ত বিভাগকে নিয়ে একটা বৈঠক করব। DVC এবার যে ধরনের ব্যবহার করেছে… ডিভিসি এবার চার সাড়ে চার লক্ষ। কোনও হিসাব নেই। আমাদের জানাচ্ছে না।”
কালীঘাটের বাড়িতে চিকিৎসকদের সঙ্গে যেদিন বৈঠক ছিল, সেদিনও DVC-র সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমরা কিন্তু টাইম টু টাইম মনিটারিং করি। যেদিন ডাক্তারদের সঙ্গে আমার বাড়িতে মিটিং ছিল, আমি DVC- র যে চেয়ারম্যান তাঁকে পার্সোনালি ফোন করেছিলাম। আমার মুখ্যসচিব কথা বলেছিল, আমি বলেছিলাম।” পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমস্ত বিভাগের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।