Hooghly: এবার ডিপফেকের শিকার হুগলির তরুণী, প্রতারকদের টাকা না দেওয়ায় ভাইরাল ফেক ভিডিয়ো

Ashique Insan | Edited By: জয়দীপ দাস

Nov 25, 2023 | 6:07 PM

Hooghly: অভিযোগ, শুরুতেই ওই তরুণীর পুরো মোবাইল লিঙ্কের মাধ্যমে ক্লোন করে ফেলেছিল প্রতারকেরা। ফলে ফোনের যাবতীয় ডিটেলস, কনট্যাক্ট নম্বর চলে যায় প্রতারকদের হাতে। একবার টাকা দেওয়ার পর আরও টাকা চাইলে তা না দিতেই একটি অশ্লীল ভিডিয়ো বন্ধুবান্ধব, পরিজনদের মোবাইলে পাঠানো শুরু হয়ে যায় বলে খবর।

Hooghly: এবার ডিপফেকের শিকার হুগলির তরুণী, প্রতারকদের টাকা না দেওয়ায় ভাইরাল ফেক ভিডিয়ো
চিন্তায় তরুণীর পরিবার
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

হুগলি: এবার ডিপফেকের শিকার হুগলির মানকুন্ডুর তরুণী। ডিপফেকের মাধ্যমে অশ্লীল ভিডিয়ো বানিয়ে ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে তাঁর থেকে কয়েক হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। টাকা দিতেও মেলেনি রেহাই। অভিযোগ, আরও টাকা চাইতে থাকে প্রতারকেরা। এদিকে ততক্ষণে অফিসের সহকর্মীদের কাছে গোটা ঘটনা খুলে বলেছেন ওই তরুণী। তাঁরাই শেষে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। 

ঘটনায় তরুণীর ওই সহকর্মী বলছেন, মোবাইলে ও বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখছিল। সেই সময় একটা ফ্ল্য়াশ মেসেজ আসে ফোনে। ওটায় ক্লিক করতেই কিছু একটা হয়। ফোনের সব ডিটেলস ওদের কাছে চলে যায়। এরপর জানানো হয় আপনার অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা আসবে। দেখা যায় কিছু সময় পরে অ্য়াকাউন্টে এসেছে সাড়ে ১১ হাজার টাকা। দেখা যায় একটা লোন অ্যাপ থেকে এসেছে। এক মাস পর পুনরায় রিপেমেন্ট করার কথা বলা হয়। কিন্তু, এ ঘটনার ২ দিন পরে ওর কাছে নানা নম্বর থেকে ফোন করে টাকা চাওয়া হয়। ও বলে এক মাসের মধ্যে টাকা দিয়ে দেব। তারপরও কমেনি থ্রেট কল। বলা হয় ভিডিয়ো বানিয়ে ভাইরাল করে দেওয়া হবে। আপনি মুখ দেখাতে পারবেন না। ও ভয়ে তখন যে টাকা ওরা চেয়েছে দিয়ে দেয়। তারপর আরও টাকা চাওয়া হয়। 

অভিযোগ, শুরুতেই ওই তরুণীর পুরো মোবাইল লিঙ্কের মাধ্যমে ক্লোন করে ফেলেছিল প্রতারকেরা। ফলে ফোনের যাবতীয় ডিটেলস, কনট্যাক্ট নম্বর চলে যায় প্রতারকদের হাতে। একবার টাকা দেওয়ার পর আরও টাকা চাইলে তা না দিতেই একটি অশ্লীল ভিডিয়ো বন্ধুবান্ধব, পরিজনদের মোবাইলে পাঠানো শুরু হয়ে যায় বলে খবর। ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ওই মহিলা। ঘটনার কথা নিজের সহকর্মীদের কাছে খুলে বলেন। তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেন পুলিশে যাওয়ার। পুলিশে অভিযোগ জানাতে এসে এক সহকর্মী বলছেন, “পরিচিত সার্কেলে যে ভিডিয়ো এখন পাঠানো হচ্ছে সেটা যে কেউ দেখলেই বুঝবে এগুলো সব ফেক ভিডিয়ো। কিন্তু, যেহেতু ফোনটা ক্লোন হয়ে গিয়েছে তাই প্রতারকেরা ফোনের সব নম্বর আগেই পেয়ে গিয়েছিল।” এদিন ওই তরুণীকে নিয়ে ভদ্রেশ্বর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে যান তাঁর এক আত্মীয়। সেখান থেকে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম থানায় পাঠানো হয়। সেখানেই দায়ের হয় অভিযোগ।

 

Next Article