শ্রীরামপুর: বীরভূমে শিশু অপহরণ ও খুনের ঘটনায় চাপানউতর চলছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। একদিন আগেই দফায় দফায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় শান্তিনিকেতনে। এদিকে বর্তমানে আবার বাংলায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। এদিন শ্রীরামপুর থেকে এ ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূলের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগেন তিনি। ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধে কটাক্ষবাণ শানিয়ে বলেন, “মা হোক, শিশু হোক, মানুষ হোক, নির্দোষদের মেরে ফেলা তৃণমূলের একটা ঘৃণ্য পলিটিক্যাল প্র্যাকটিস হয়ে গিয়েছে। যখন ভারতীয় জনতা পার্টির নেতারা এই কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন তখন তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। এটা বাংলার বাচ্চারাও জানে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের রাজনীতি আর কতদিন চলবে সেটা আমরা দেখতে চাই।”
এদিকে গতকাল থেকেই অশান্ত হয়ে রয়েছে শান্তিনিকেতন। সেখানে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এদিন তাঁর নেতৃত্বেই বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল প্রথমে গিয়েছিল শান্তিনিকেতন থানায়। তবে লকেটকে বাধা নিয়েও এদিন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্মৃতি। প্রসঙ্গত, বিস্কুট কিনতে গিয়ে বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল চার বছরের শিশু। ৫২ ঘণ্টা পর বাড়ির পাশেই প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার হয়েছিল ওই শিশুর নিথর দেহ। এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই রুবি বিবি ও সুফিকার বিবিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা সুর চড়িয়েছেন বিধানসভায়। এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতি দাবি করেছেন শুভেন্দু। অন্যদিকে এদিন আবার রাজ্যজোড়া দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েও সরব হন স্মৃতি ইরানি। এদিন রাজ্যজোড়া দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে স্মৃতি বলেন, “মর্যাদা লঙ্ঘন করা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। কিন্তু দুর্নীতির বিরুদ্ধে যদি তিনি আওয়াজ ওঠাতেন,যাঁরা দুর্নীতি করছে তাদেরকে জেলে ঢোকানোর ব্যবস্থা করতেন তাহলে বোঝা যেত। তৃণমূল নেতাদের ঘর থেকে জনতার লুট করা টাকা কি করে উদ্ধার হল তার জবাব দিতে হবে।”