হুগলি: ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ নিয়ে মানুষকে সতর্ক করতে নিজেই মাইক হাতে গঙ্গার পাড়ে নামলেন বিধায়ক। চুঁচুড়া কণকশালী ঘটকপাড়া, শ্যামবাবুর ঘাট, ষন্ডেশ্বরতলায় বেশকিছু পরিবার গঙ্গার পাড়ে বাস করে। তাদের সতর্ক করার পাশাপাশি স্থানীয় স্কুল বাড়িতে আশ্রয় শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিলেন বিধায়ক অসিত মজুমদার।
গত বছর আমফানের তাণ্ডবের স্মৃতি এখনও তাজা। তাই এবার ইয়াস কত ক্ষতি করবে তা এখনও বোঝা না গেলেও আগেভাগে সতর্ক হয়েছে রাজ্য প্রশাসন। এই প্রেক্ষিতে এলাকার মানুষকে সতর্ক করতে নিজেই মাইক হাতে রাস্তায় নামলেন বিধায়ক।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিমি বেগে ঝড় আছড়ে পড়তে পারে স্থলভাগে। সেক্ষেত্রে বাড়ি-ঘর ও গাছপালার ক্ষয়ক্ষতির প্রভূত আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষত নদী তীরবর্তী এলাকায় এই আশঙ্কা বেশি। তাই আগে ভাগেই বাসিন্দাদের সতর্ক করছে প্রশাসন। খোলা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম। শুকনো খাবার থেকে ত্রিপল পাঠানো শুরু হয়েছে জেলার বিভিন্ন ব্লক ও পুরসভায়। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর,দমকল, বিদ্যুৎ দফতর ও পুলিশ একযোগে কাজ করবে বিপর্যয় মোকাবিলায়। জেলা সিভিল ডিফেন্সেও বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুতি চলছে। জনসাধারণের উদ্যেশে মাইকে প্রচার চালাচ্ছে ট্র্যাফিক পুলিশ।
হুগলি জেলা শাসক পি দীপাপ প্রিয়া ইয়াসের প্রস্তুতি নিয়ে জানান প্রতিটি ব্লক পুরসভায় কুইক রেসপন্ড টিম তৈরি রাখা হয়েছে। আরামবাগে এনডিআরএফ টিম রাখা হয়েছে। স্পিড বোট প্রত্যেক সাবডিভিশনে থাকছে। তাছাড়া প্রত্যেক হাসপাতালে নজর রাখতে বলা হয়েছে। অ্যাম্বুল্যান্সের প্রয়োজন হতে পরে এই সময়। তাই সেগুলুও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে বলাগড়ে রেসকিউ সেন্টারে ২৫ জনকে নিয়ে আসা হয়েছে জানা গিয়েছে। কী করা যাবে এবং কী করা যাবে না, তার জন্য মাইকে প্রচার চলছে। পুরসভা এলাকায় ড্রেন কোথায় বন্ধ হয়ে আছে, সেগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে।
গাছ ট্রিমিং করা হয়েছে। ইলেকট্রিক পোস্ট কোথাও বিপদজনক থাকলে তাও দেখছে এসিডিসিএল। হুগলি জেলার কন্ট্রোল রুম নম্বর হল- ০৩৩২৬৮১২৬৫২, ০৩৩২৬৮০০১১৫, ৮১০০১০৬০২২, ৮১০০১০৬০৪১। মানুষকে সবরকম সাহায্যের জন্য তারা প্রস্তুত বলে জানিয়েছে হুগলি জেলা প্রশাসন।