হুগলি: অনৈতিকভাবে বেতন বৃদ্ধির প্রতিবাদে উত্তাল হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভা (Hooghly Chinsurah municipality)। শুক্রবার সন্ধ্যায় হুগলির-চুঁচুড়া পুরসভায় বোর্ড মিটিং চলাকালীন পুরসভার কর্মচারীরা মিটিং হলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বলে খবর। হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার পুরপ্রধান অমিত রায় সহ পুরসভার সদস্যদের ঘিরে বিক্ষোভ চলে দীর্ঘক্ষণ। কর্মচারিদের দাবি, অনৈতিকভাবে পাঁচ কর্মচারীর মাইনে বাড়িয়ে দিয়েছেন পুরপ্রধান। সকলকে আড়ালে রেখেই করা হয়েছে এই কাজ। পুর কর্মচারী জয়ন্ত মুখোপাধ্যায় জানান, অ্যাকাউন্ট বিভাগের রূপম মিত্র,সর্নাভ সেনগুপ্ত, ত্রিদীপ নন্দী সহ আইটি ও পিডাব্লুডি বিভাগের মনীদীপা চক্রবর্তী ও সঙ্গীতা দাস বোসের মাইনে বেড়েছে তিন হাজার টাকা করে।
এ খবর চাউর হতেই তীব্র ক্ষোভের বাতাবরণ তৈরি হয় কর্মীদের মধ্যে। বিক্ষুদ্ধ কর্মীচারিদের দাবি তাঁরা কখনওই বেতন বৃদ্ধির বিরুদ্ধে নন। কিন্তু, সকলকে অন্ধকারে রেখে, লোকচক্ষুর আড়ালে কেন তা করা হচ্ছে? কেন বেতন বাড়ছে না অন্য কর্মচারিদের? এই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে তাঁরা। পুর কর্মচারীদের আরও অভিযোগ, পাঁচ জনের বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে কোনও কমিটি হয়নি। এখন পুরপ্রধান মাইনে বাড়ানোর জন্য নতুন কমিটি করার দোহাই দিচ্ছেন। বিক্ষুদ্ধ কর্মচারীদের দাবি দ্রুত জানানো হোক কত মাইনে বাড়ছে অন্য কর্মচারীদের। যদিও এরপরেই মাঠে নামেন পুরপ্রধান।
যদিও ঘটনা প্রসঙ্গে পুরপ্রধান অমিত রায়ের বক্তব্য, “বেতন বৃদ্ধি নিয়ে আমরা সবসময় কর্মীচারিদের দিকে নজর রাখি। আমরা মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি দিনে ২০ টাকা করে বেতন বাড়াব। সেপ্টেম্বর মাস থেকে তা লাঘু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” অন্যদিকে ‘বাছাই করা’ ৫ জনের বেতন বৃদ্ধি প্রসঙ্গে অমিত বাবুর দাবি , “ওনারা অর্থ দপ্তরের স্পেশাল কর্মী। সকলে সমান হয় না। তিন চার বছর অন্তর নিয়ম অনুযায়ী বেতন বাড়ে ওদের। গুরুত্বপূর্ণ পদে ওরা কাজ করেন। সেই অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধি হয়েছে।” যদিও শেষ পর্যন্ত ২০ টাকা দৈনিক বেতন বৃদ্ধি তে খুশি কর্মচারীরা। যদিও তাদের দাবি ছিল ৩০ টাকা করে দৈনিক বেতন বৃদ্ধির।