আরামবাগ: পঞ্চায়েত ভোটের আগে জমি শক্ত করতে মরিয়া শাসক থেকে বিরোধী দুই শিবির। জয় ছিনিয়ে নিতে চাইছে প্রত্যেককেই। সেই কারণে নিত্যদিনই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির কর্মসূচি লেগেই রয়েছে।
এমন আবহে ময়দানে নেমেছে আইএসএফও। শাসকদল তৃণমূলকে আক্রমণ করল তারা। দলের চেয়ারম্যান নওসাদ সিদ্দিকি বললেন, “এলাকা বন্যপ্রাণীদের হয়, কিন্তু এখন রাজ্যজুড়ে শাসকদলের কর্মীরা আইএসএফ কর্মীদের কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে বলছে এটা তৃণমুলের এলাকা। এই অবস্থা বেশীদিন চলতে পারে না।”
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে আইএসএফ(ISF) নেতাকে মারধরের ঘটনায় এভাবেই রাজ্যের শাসকদলকে একহাত নিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক। রবিবার বিকালে আরামবাগের মুথাডাঙায় সংখ্যালঘু উন্নয়ন দিবসকে সামনে রেখে একটি সভায় যোগদিতে এসে এভাবেই সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। পাশাপাশি আসন্ন পঞ্চায়েতের প্রার্থী নির্বাচন প্রসঙ্গেও তিনি বলেন, দুর্নীতি তৃণমূলের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে রয়েছে। তাই সবটাই নাটক।”
এরপর রাজ্যের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সফর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নওসাদের কটাক্ষ, “ভোট পরবর্তী হিংসায় বিজেপির পরেই আক্রান্ত আইএসএফ। কিন্তু বিজেপি তৃণমূল যেভাবে নিজেদের মধ্যে সেটিং করছে তাতে পরবর্তীতে পরিস্থিতি খারাপ হবে। পাশাপাশি এদিন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতি নিয়েও মুখ খোলেন তিনি।
প্রসঙ্গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে আবারও উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। ফের আইএসএফের নেতাকে মারধর এমনকি পেটে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। শনিবার রাত্রিবেলা ঘটা এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ওই আইএসএফ নেতা রাইনুর মোল্লা। সেই ঘটনা নিয়েই এ দিন মন্তব্য করেন নওসাদ।