হুগলি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে (Corona second wave) বেসামাল রাজ্য। করোনায় মৃতদের সৎকারের জায়গার অভাব দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। এই অবস্থায় মর্গে উপচে পড়ছে লাশ। তাই লাশ ঘরের সামনে ভ্যানের উপর সারিসারি মৃতদেহ চাপিয়ে রাখা হচ্ছে। এদিকে দুর্গন্ধে শ্বাস নেওয়া দায় হয়ে উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এমনই চরম সমস্যার মুখোমুখি চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনায় হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালের মর্গে করোনা মৃতদেহ রয়েছে প্রায় ৩৫টি। কিন্তু দাহ করার জায়গা হচ্ছে না। মর্গে জমতে থাকা দেহ তাই বাইরে বের করে ভ্যানের মধ্যে চাপিয়ে রাখা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, চুঁচুড়া হাসপাতালের সব মৃতদেহ শ্যামবাবুর শ্মশান ঘাটে দাহ করা হয়। কিন্তু ইলেকট্রিক চুল্লি খারাপের জন্য সেই ঘাট গত চার পাঁচদিন ধরে বন্ধ। তাই মরদেহ দাহ করা যাচ্ছে না। এদিকে মর্গেও আর জায়গা নেই। তাই বাইরে রাখতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
এদিকে মরদেহের পচা গন্ধে বাড়িতে টেকা দায় হয়েছে বাসিন্দাদের। তাঁদের অভিযোগ,খাওয়া-দাওয়া, ঘুম কোনওকিছুই করা যাচ্ছে না। এদিন হাসপাতাল সুপারের ঘরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পাশাপাশি পুলিশকে ঘিরেও ক্ষোভে ফেটে পড়েন কয়েকজন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, তারা অসহায়।
যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ আরও গুরুতর। তাঁদের দাবি, আসলে এই মৃতদেহগুলির সৎকার হচ্ছে না অন্য কারণে। এর পিছনে রয়েছে অসৎ উদ্দেশ্য। মৃতের পরিবারের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হচ্ছে। তবেই মিলছে দেহ।
এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা জানাচ্ছে গত কয়েকদিন ধরে চুঁচুড়া শ্যামবাবুর শ্মশান ঘাটে দাহ করা যাচ্ছে না বলেই এই সমস্যা। এদিকে স্থানীয়দের বিক্ষোভ প্রশমন করতে হাসপাতালে ছোটে পুলিশ। পুলিশ আধিকারীকরা গিয়ে আশ্বাস দেন, চুল্লি ঠিক হলে দ্রুত সৎকার করা হবে।
আরও পড়ুন: শহরের মর্গে দেহ রাখার জায়গা নেই, মহানগরে আতঙ্কের ছবি
এদিকে বাংলায় করোনার দৈনিক সংক্রমণ ছাড়িয়ে গিয়েছে ১৭ হাজার। প্রতিদিন বাড়ছে মৃতের। খাস কলকাতাতেও সৎকারের জায়গা হচ্ছে না। সমস্যার কথা মেনে নিয়েছে প্রশাসনও।