আরামবাগ: নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে ৯৫২টি ওএমআর শিটে বিকৃতি হয়েছে বলে সিবিআই রিপোর্ট দেয়। সেই অনুযায়ী বিকৃত ওএমআর শিটগুলি জনসমক্ষে প্রকাশের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর জনসমক্ষে আসার পরই একের পর এক অযোগ্য প্রার্থীর নাম প্রকাশ্যে আসতে থাকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে। এসএসসি প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী এবার আরও এক ‘অযোগ্য’ প্রার্থীর খোঁজ মিলল আরামবাগের স্কুলে।
আরামবাগের নির্ভয়পুর বাদলকোণা ঘিয়া নীলকন্ঠ শিক্ষা নিকেতনের ইংরেজির শিক্ষক অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। ২০১৯ সাল থেকে বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন।শিক্ষা দফতরের প্রকাশিত তালিকায় ৫৪ নম্বরে নাম রয়েছে তাঁর। যদিও, অভিষেকবাবুর সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন। তিনি বলেন, “তালিকা বেরিয়েছে। নাম দেখেছি। আমরা পরীক্ষা দিয়েছিলাম ২০১৬ সালে। রেজাল্ট বের হওয়ার পর মেরিট লিস্টে নাম ছিল। আমাকে নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়। সেই নিয়োগ পত্র নিয়েই আমি এই স্কুলে যোগদান করেছি। আমরা নিজেদের নম্বর জানতে পেরেছি ২০২২ সালে। এই নম্বর আমি জানতাম না। এটা কীভাবে হয়েছে আমি বলতে পারব না। আর গোটা বিষয়টি এখন বিচারাধীন।”
অপরদিকে, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুশিক কুমার কুণ্ডু বলেছেন, “উনি আমার স্কুলে গত ২০১৯ সাল থেকে পড়াচ্ছেন।একজন ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে। উনি ক্লাস করছেন। স্কুলেও আসেন। এখনও ওনার নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও চিঠি বা নির্দেশ আমার কাছে আসেনি।”
উল্লেখ্য, নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে ৯৫২টি ওএমআর শিটে বিকৃতি হয়েছে বলে সিবিআই রিপোর্ট দেয়। সেই অনুযায়ী বিকৃত ওএমআর শিটগুলি জনসমক্ষে প্রকাশের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও, বিষয়টি ভাল চোখে দেখেনি তৃণমূল। ওএমআর শিট (OMR Sheet) প্রকাশ্যে আসায় মানহানি হয়েছে। এমনই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও দায়ের করেন রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর কুহেলি ঘোষ।