গোঘাট: আরজি কর হাসপাতালের ভিতরে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে তোলপাড় যখন রাজ্য, সেই সময় ফের হাসপাতালের ভিতর এবার রোগীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। যার জেরে উত্তেজনা আরামবাগে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় পরিবারের লোকজন। স্থানীয় বাসিন্দারাই অভিযুক্তকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
নির্যাতিতা মহিলাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আরামবাগ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর বাড়ি গোঘাটএলাকায়। তিনি আরামবাগে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন। আর ডাক্তার না আসায় তারই পাশের গ্রামেরই যুবক তাকে ডাক্তার দেখানোর নাম করে স্থানীয় একটি গুদাম ঘরে নিয়ে যায়। সেখানেই দরজা বন্ধ করে ওই মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ নিগৃহীতার পরিবারের লোকজনের। আর এর পরেই ঘটনা জানাজানি ও মহিলার চিৎকার চেঁচামেচিতে সকলে ছুটে আসেন। মহিলার অভিযোগে উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত যুবককে ধরে ফেলে ও বেধড়ক মারধর করে। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নির্যাতিতার দিদি বলেন, “আমার দিদি এসেছিল ডাক্তার দেখাতে। আমিও ছিলাম সঙ্গে। এরপর অভিযুক্ত যুবক বারেবারে বলতে থাকে ডাক্তার এখনও আসেনি। অপেক্ষা করতে বলে। আমার দিদি ওর মতলব বুঝে যায়। পালিয়ে আসতে গেলে ধর্ষণের চেষ্টা করে।”