আরামবাগ: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস। পরে বিয়ে করতে অস্বীকারের অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে। অপমানে আত্মঘাতী যুবতী। আত্মহত্যার প্ররোচনা সহ একাধিক ধারায় আরামবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত যুবতীর পরিবার।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, বেশ কয়েক বছর ধরে তাঁদেরই প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে ওই যুবতীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এর জেরে একাধিকবার ওই যুবতীর সঙ্গে অভিযুক্তর শারীরিক সম্পর্কও তৈরি হয়। ফলত বাধ্য হয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দু’জনের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
অভিযোগ, গত রবিবার অভিযুক্ত যুবক ও তার পরিবারের লোকজন অন্যত্র ওই যুবকের বিয়ে স্থির করে দেন। ঘটনার কথা জানতে পেরে ওই যুবতী ঘটনার প্রতিবাদ করলে অভিযুক্ত যুবক ও তার পরিবারের লোকজন তাকে চরম লাঞ্চনা করে বলে দাবি। সেই সঙ্গে ওই যুবকও যুবতীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে বলে অভিযোগ। মৃতের পরিবারের দাবি, এর জেরেই তীব্র অপমানে গত বুধবার গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা হত্যা করে ওই যুবতী।
এনিয়ে ইতিমধ্যেই আরামবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত যুবতীর পরিবারের লোকজন।
যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে অভিযুক্ত যুবকের পরিবারের লোকজন। তাদের পালটা দাবি,তাদের ছেলেকে টাকার জন্য ফাঁসানো হচ্ছে। অভিযুক্তের মা বলেন, “আমার ছেলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক ছিল না। উল্টে কাল ওরা টাকা চাইতে এসেছিল।” আরামবাগ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃতের বাবা বলেন, “আমার মেয়ে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছিল। একদিন শুনি পাশের বাড়ির ছেলের সঙ্গে ওর সম্পর্ক রয়েছে। ওদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয়। এরপর বিয়ের তোড়জোড় শুরু করতেই ছেলেটা বলল বিয়ে করতে পারবে না। এও বলল তুই মরগে যা…তাও বিয়ে করব না।”