হুগলি : তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যের প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ থানার সামনে। সোমবার চুঁচুড়া থানার সামনে বিজেপির বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। বিজেপির দাবি, কুশপুতুল জ্বালাতে বাধা দেয় পুলিশ। এ দিন বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি রাজীব ঘরামি সহ বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ। বিজেপি কর্মীরা থানার সামনে বসে বিক্ষোভ দেখান।
কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সেই বিক্ষোভ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, টানাহ্যাঁচড়া চলে। বিজেপির অভিযোগ, চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার সম্প্রতি বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে কু-মন্তব্য করেছেন। আর তাতেই ক্ষুব্ধ কর্মীরা। এ ছাড়া, হুগলি গার্লস স্কুলে ‘মুখোমুখি বিধায়ক’ অনুষ্ঠানে গিয়ে পোশাক নিয়ে ছাত্রীর মায়ের করা প্রশ্নে অসিত মজুমদার, ছাত্রীদের উদ্দেশে বিরূপ মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। বিজেপির দাবি, নারীদের অসম্মান করছেন বিধায়ক, তাই এরই প্রতিবাদে আজ পিপুলপাতি থেকে চুঁচুড়া থানা পর্যন্ত মিছিল করে বিজেপি মহিলা মোর্চা এবং যুব মোর্চা।
থানার সামনে বিধায়কের কুশপুতুল দাহ করার চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ। কুশপুতুল ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এরপরই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। আইন অমান্য করার অভিযোগে ১৫ জন বিজেপি কর্মীকে আটক করে পুলিশ। আটক কর্মীদের মুক্তির দাবিতে থানার সামনে বসে পড়েন বিজেপির অন্যান্য কর্মীরা। ঘটনায় স্বপন বিশ্বাস নামে এক বিজেপি কর্মীর নাক কেটে যায় বলে অভিযোগ। তাঁর চিকিৎসা হয় চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে।
বিজেপি হুগলি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে চুঁচুড়ার বিধায়ক মহিলাদের যে ভাষায় কথা বলছেন তা সমাজ কখনই গ্রহণ করে না। এরই প্রতিবাদে আজ চুঁচুড়া থানায় স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়েছিলাম আমরা। যাতে প্রশাসন এই ধরনের মন্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু দেখলাম আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে বাধা দিল। কর্মীদেরকে থানায় ধরে নিয়ে গেল। দেখে মনে হচ্ছে পুলিশ আর তৃণমূল একই।’
চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ‘নেই কাজ তো খই ভাজ। গত পাঁচ বছরে বিজেপি কোনও কাজই করেনি। আসলে ওদের হাতে কোনও কাজই নেই। তাই নাটক করে প্রচারে থাকতে চায়। ২০১৯ সালে লকেট হয়েছিল, ২০২১ এ মানুষ তাকে নূপুর করে দিয়েছে। এটাই বলেছি। এর জন্য নাটক করছে।’