হুগলি: আর কয়েকদিন পরই বাড়িতে আসত আনন্দের খবর। তবে এক লহমায় সেই আনন্দই যেন বদলে গেল কান্নার রোলে। প্রসবের সময় মৃত্যু মায়ের। চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে নার্সিংহোম ভাঙচুরের অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে হাজির হয় গুড়াপ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। লাঠি উঁচিয়ে বিক্ষোভ কারীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আহত খোদ ওসি প্রসেনজিৎ ঘোষ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতে নাম অনিন্দিতা মালিক। অনিন্দিতার বাপের বাড়ি গুড়াপের হাসানের পুর এলাকায়। পুরিবার সূত্রে খবর, বুধবার প্রসব বেদনা নিয়ে গুড়াপের ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় অনিন্দিতাকে। রাত্রি আটটা নাগাদ সিজার করা হয় তাঁর। পরিবারের অভিযোগ, এরপর বৃহস্পতিবার সকালে ওই মহিলাকে দেখতে যান তাঁরা। তবে অনিন্দিতা কোনও সাড়-শব্দ না দেওয়ায় সন্দেহ হয় আত্মীয়দের।
অভিযোগ, এরপর চিকিৎসকদের চেপে ধরতেই মৃত্যুর কথা স্বীকার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। তখনই বলা হয় অনিন্দিতার মৃত্যু হয়েছে। যদিও, সদ্যজাত ভাল আছে বলেই জানানো হয় নার্সিংহোমের তরফে। এরপরই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দফায়-দফায়। প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্রকে তাঁর পরিবারের আত্মীয়রা নার্সিংহোম ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।
এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ। ক্ষুদ্ধ জনতাকে লাঠি উঁচিয়ে ছত্রভঙ্গ করে তারা। পরে পুলিশ কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান রুগীর আত্মীয়রা।পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আহত হন গুরাপ থানার ওসি প্রসেনজিৎ ঘোষ। গোটা বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকার করে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।
অনিন্দিতার কাকা বলেন, ‘আমার ভাইঝি ভর্তি ছিলেন অনিন্দিতা মালি। নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় ওকে। চিকিৎসক বলে সিজার করতে হবে। এরপর সিজারও করা হয়। আমরা দেখতে গিয়ে দেখি অনিন্দিতা ভালই রয়েছে। তবে রাত্রিবেলা আদৌ বাড়াবাড়ি রয়েছে কি হয়েছে জানি না। ও মারা যাওয়ার পরও আমাদের জানানো হয়নি। পাশের যারা ছিল বলল বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছে। তবে ওর সন্তান ভাল আছে।’